সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, সিসিকের সেবা অব্যাহত

সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। রবিবার (২জুন) নগরীর বন্যা কবলিত এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা থেকে সামান্য (১ সে.মি.) নিচে নেমেছে বলে জানিছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। রবিবার দুপুর ১২টায় বিপদসীমার ১০.৮০ থেকে ১ সে.মি. কমে ১০.৭৯ নিচে নেমে এসেছে। টানাবৃষ্টি না হলে পানি আরও কমবে বলে জানায় পাউবো।

সিলেট নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে বিভিন্ন ভাবে কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।

পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশনায় জরুরি সভা করে নানা ভাবে কর্মতৎপর রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ মখলিছুর রহমান কামরানসহ কর্মকর্তাগণ। আশ্রয় কেন্দ্র চালু এবং বানবাসীদের জন্য খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে নগর ভবন। নগরীর বন্যাকবলিত এলাকা সমূহ পরিদর্শন করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়রসহ কর্মকর্তাগণ।

সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, সিটি কর্পোরেশন এলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বন্যা দেখা দেয়। বন্যা হওয়ার পর থেকে সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশনায় নানা ভাবে কর্মতৎপরতা চালানো হয়। ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরানসহ কর্মকর্তাগণ বন্যা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিলেন।

তিনি আরও জানান, বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বেশির ভাগ এলাকার। তাছাড়া বন্যার ঝুঁকিতে আছে এমন সকল ওয়ার্ডে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি বাড়লে তাদের ওই আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে। সুরমা তীরবর্তী বিদ্যুৎ সাব স্টেশন গুলো রক্ষার জন্য বালির বস্তা দিয়ে বাধ নির্মান করা হয়ছে। ২৫  ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর তাকবিরুল ইসলাম পিন্টু ও রায়হান আহমদের মাধ্যমে বাধ নির্মান করা হয়।

তিনি আরও জানান, নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাশ্ববর্তী একটি ৫ তলা খালি ভবনে দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধীক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিসিকের স্বাস্থ্য শাখার একটি চিকিৎসক দল সেখানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। তাছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এই দুটি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বন্যা কবলিত ওয়ার্ডগুলোতে শুকনা খাবার, চিড়া, মুড়ি, ঘুড়, বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন ও কিছু কিছু ওয়ার্ডে মোমবাতি সরবরাহ করা হয়েছে। শনিবার বিকাল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খিচুড়ী দেয়া হয়েছে।

সাজলু লস্কর জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর ও আমাদের নিজস্ব তথ্যমতে আনুমানিক চার হাজার পরিবার বন্যাকবলিত আছে। আজও আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমান শুকনো খাবার আমাদের মজুদ রয়েছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তি

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *