কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও’র শাস্তিমূলক অপসারণের দাবি

কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও কর্তৃক বারকি শ্রমিকদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের বিচার, নিরীহ পাথর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ভোলাগঞ্জ, জাফলং, বিছনাকান্দি সহ সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার দাবিতে রবিবার (২রা জুন) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের ধলাই সেতুর পূর্ব পাড়ে বারকি বাঁচাও আন্দোলনের ডাকে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বারকি বাঁচাও আন্দোলন সিলেটের আহবায়ক শ্রমিক নেতা ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুবনেতা রফিকুল ইসলাম রাঙ্গার পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, সাংবাদিক আবুল হোসেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গোয়াইনঘাট খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাসান আহমদ চৌধুরী, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন কোম্পানীগঞ্জ শাখার সভাপতি কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, সহ সভাপতি আসাদ মিয়া, তরুণ কবি ও মানবাধিকার কর্মী এমরান আলী, বিশিষ্ট মুরব্বী ইমাম হোসেন, আজাদ মিয়া, জয়নাল আবেদীন, বাবুল মিয়া, আমির আলী, ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলী, কাঁচা মিয়া, সংবাদকর্মী মানিক মিয়া ময়না, শ্রমিক নেতা সুরুজ মিয়া, হেলাল মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতা রমজান আলী কালা মিয়া, জাহির উদ্দিন, আজিজুল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার ধলাই নদে ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ কর্তৃক বন্যা কবলিত বারকি শ্রমিকদের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। ইউএনও ঐদিন নদে লাকড়ি আনতে যাওয়া ৩টি বারকি নৌকা ডুবিয়ে দেয়। একটি নৌকাকে ইউএনও এর নির্দেশে তার বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকা সজোরে আঘাত করে ডুবিয়ে দেয়। ৩ জন শ্রমিক প্রাণে বাঁচতে সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হয়। শ্রমিকরা এসময় বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলেও শ্রমিকদের উদ্ধার করেনি ইউএনও। এহেন অমানবিক কর্মকান্ডে হতবাক হয়েছে কোম্পানীগঞ্জবাসী।
তিনি আরো বলেন, ইউএনও সুনজিত ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কোম্পানীগঞ্জে যোগদান করেই দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এই দূর্নীতিবাজ ইউএনও এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সহ অপসারনের দাবি জানান। তিন দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ বারকি শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
তিনি আরো বলেন, ঐদিনই ইউএনও কর্তৃক ১৭ জন নিরীহ পাথর ব্যবসায়ীকে আসামী করে থানায় পাথর চুরির মামলা দেয়া হয়। এই মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কোম্পানীগঞ্জের যেকোন পরিস্থিতির জন্য ইউএনও দায়ী থাকবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল হোসেন আরো বলেন, ভোলাগঞ্জ-জাফলং-বিছানাকান্দি সহ সিলেটের সকল পাথর কোয়ারীগুলো দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকায় পাথর শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। জুন মাসের মধ্যে সিলেটের সকল পাথর কোয়ারীগুলো সনাতন পদ্ধতিতে খুলে দেয়ার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান। অন্যথায় শ্রমিকরা মানববন্ধন, অনশন, রাজপথ অবরোধ, হরতাল, ধর্মঘট, লংমার্চ, ডিসি অফিস ও প্রধানমন্ত্রী অফিস ঘেরাও সহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে সমাবেশ থেকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *