আইডিইবি সিলেট জেলা শাখার র‌্যালি ও স্মারকলিপি প্রদান

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে জনপ্রিয় করার স্বার্থে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাস) কোর্সের সমমান মর্যাদা প্রদানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ অবিলম্বে বাস্তবায়ন, জাতীয় মেধার অপচয় রোধে প্রশাসন ক্যাডারে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সনদধারীদের প্রবেশ রোধ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত সমস্যাদি সমাধানের দাবিতে সভা, র‌্যালি ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) সকালে নগরীর তালতলাস্থ আইডিইবি কার্যালয়ের সামন থেকে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সমীপে সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বারকলিপি প্রদান করেন আইডিইবি সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে আইডিইবি কার্যালয়ে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) সিলেট জেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী মাহমুদুর রশীদ মসরুরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ খালেদুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিইবি সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রফিক উদ্দিন আহমেদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আইডিইবি সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মো: নূরুল হুদা চৌধুরী, প্রকৌশলী মো: আব্দুস ছোবহান, কাউন্সিলর ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ডিপ্রকৌস এর সভাপতি মো: সাইদুর রহমান, আইডিইবি সিলেট জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: শামসুল আলম, চাকুরী বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী কফিল উদ্দিন আকন্দ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো: উজ্জল বখ্ত, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা ও প্রশিক্ষক সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো: জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।
স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তিগত ও বৈশ্বিক কর্মবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে মাননীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে শিক্ষার মূলস্রোতধারায় নিয়ে এসে এই শিক্ষা ভর্তির হার ২০৩০ সালে ৩০% ও ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০-৬০% এ উন্নীতকরণের পরিকল্পনা নিয়েছেন। সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধকরণে বহুমাত্রিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ১৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বিএসসি (পাস) কোর্সের সমমানের মর্যাদা প্রদান করার বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ দেয়ার জন্য ১০ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করায় সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। স্বারকলিপি আরো বলা হয়, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারগণ উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণের পর ৪বছর মেয়াদি বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মাধ্যমিক উত্তীর্ণের পর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ ৪বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করেন। এক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার একাডেমিক পার্থক্য মাত্র উচ্চ মাধ্যমিকের ২বছর। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন ও শিক্ষানীতি প্রণয় কমিটি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং উভয় শিক্ষাকে উচ্চ শিক্ষাভুক্ত বা টারশিয়ারী শিক্ষা হিসেবে গণ্য করেছেন। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উভয়েই ইঞ্জিনিয়ার, যা রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তাই কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আকৃষ্ট করার জন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা প্রদানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার জন্য মাননীয় প্রধামন্ত্রীর সুদৃষ্টি কমনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *