সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক অস্বাভাবিক হারে ভৌতিক ও অযৌক্তিক ট্যাক্স বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা।
গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে জাতীয় গনতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা সভাপতি এডভোকেট কুমার চন্দ্র রায় বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই উর্দ্ধগতি ও অর্থনৈতিক মন্দার এই কঠিন সময়ে মানুষের যখন নাভিশ্বাস অবস্থা তখন সিসিকের এরকম অযাচিত করারোপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।
নগরের প্রায় পৌনে একলাখ ভবন মালিকের গৃহকর ৬০০/৭০০ গুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নগরবাসীর সাথে কোনোরূপ আলাপ-আলোচনা না করেই সিসিক মনগড়াভাবে নগরবাসীর উপর কর ধার্য করেছেন। নতুন ধার্যকৃত কর নিয়ে নগরের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সিসিকের সেবার মানের সাথে ধার্যকৃত কর প্রশ্নসাপেক্ষ। নতুন ধার্য করা কর ঢাকা সিটি করপোরেশনেও নেয়া হচ্ছে না। নতুন এসেসমেন্ট অনুযায়ী আরোপিত কর সিলেট নগরবাসীর জন্য বোঝা হয়ে মরার উপর খাঁড়ার গাঁ হয়ে দাঁড়াবে।
একের পর এক জনগণের জীবন-জীবিকার সকল প্রয়োজনীয় বিষয় রাষ্ট্রীয় দলীয় ও আমলা, ব্যবসায়ীদের অবাধ লুটপাট ও লাগামহীন বাণিজ্য ক্ষেত্রে পরিণত করে চলছে। সম্পদের বৈষম্য প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাল-ডাল-তেল, পেঁয়াজ, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ঔষধ-চিকিৎসা সামগ্রী, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি-বেতন ও শিক্ষা উপকরণের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। সেই তুলনায় শ্রমিক-শ্রমজীবী মানুষের আয় ও মজুরি বাড়েনি, তার উপর সিসিকের এধরনের কাল্পনিক করের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই কাম্য নয়।
নেতৃবৃন্দ সিসিক কর্তৃক আরোপিত অযৌক্তিক হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিলের দাবি জানান এবং এ অযৌক্তিক ট্যাক্সের প্রতিবাদে নগরবাসিকে সোচ্চার হওয়ার প্রতি আহ্বান জানান।