শরীফ গাজী: সিলেটের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক উত্তরপূর্ব’র কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর (৩৬) ‘হত্যা’র ঘটনায় ফয়সল আহমদ (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে শাহী ঈদগাহ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ঘটনার পরদিন শনিবার দুপুরে অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস বাদী হয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ফয়সল আহমদ’কে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ।
এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্ত ও গ্রেফতারকৃত ফয়সল আহমদের কাছ থেকে জানা গেছে- তার সহযোগী আরো কয়েকজন ঘটনার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে অমিতের মাথা’সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারে এবং আসামিদের একজন অমিতের ব্যবহৃত হেলমেট দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে। মারপিটের এক পর্যায়ে অমিত অচেতন হয়ে, মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আসামিরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এদিকে, পুলিশের একটি সূত্র গণমাধ্যম-কে জানিয়েছে- তদন্তে জানা গেছে, অমিত হত্যাকাণ্ডে ৮ জন হত্যাকারী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে একজন লেডি কিলারও ছিলো। তবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে সে রহস্য এখনও উদঘাটন করা যায়নি। গ্রেফতারকৃত ফয়সল পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে না। ফলে গ্রেফতারের পর ফয়সলকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। সে আবেদনের শুনানি সোমবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ফয়সল একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অনেক ৪টি মামলা রয়েছে সিলেট কোতোয়ালি এবং এয়ারপোর্ট থানায়।