দৈনিক উত্তরপূর্ব’র কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর ‘হত্যাকাণ্ডে’ জড়িত এক’জন’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

সিলেট প্রতিনিধি -আজয় কুমার চক্রবর্তী: সিলেটের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক উত্তরপূর্ব’র কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর (৩৬) ‘হত্যা’র ঘটনায় ফয়সল আহমদ (৩২) নামে একজন’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারীবাগের ৪৮ নং বাসার মৃত আব্দুল মুকিতের ছেলে।

শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে শাহী ঈদগাহ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তবে এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

শুক্রবার দিবাগত (২৫ এপ্রিল) রাত আড়াইটার দিকে সিলেট নগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ দলদলি চা-বাগানসংলগ্ন মাঠ থেকে অমিত দাস শিবুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন বিকেলে ময়না-তদন্ত শেষে নগরের চালিবন্দর মহাশশ্মানে মরদেহ দাহ করা হয়।

অমিত সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার এলেংজুড়ি গ্রামের মৃত গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। সপরিবারে নগরের কানিশাইল এলাকায় বসবাস করছিলেন।

শনিবার দুপুরে অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস বাদী হয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ফয়সল আহমদকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ।

এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্ত ও গ্রেফতারকৃত ফয়সল আহমদের কাছ থেকে জানা গেছে- তার সহযোগী আরো কয়েকজন অমিত দাস শিবুকে ঘটনার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে অমিতের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারে এবং আসামিদের একজন অমিতের ব্যবহৃত হেলমেট দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে। মারপিটের এক পর্যায়ে অমিত অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। আসামিরা তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

সাইফুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেফতারকৃত ফয়সল একজন দুধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অনেক ৪টি মামলা রয়েছে সিলেট কোতোয়ালি এবং এয়ারপোর্ট থানায়।

গ্রেফতারের পর ফয়লেকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকান্ডের পূর্ণাঙ্গ রহস্য উদঘাটন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *