প্রতিবন্ধী শিশুরা সমাজের বোঝা নয় তাদের যত্ন নেওয়ার আহ্বান : মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

অটিস্টিক শিশুরা সমাজের বোঝা নয়, সঠিকভাবে তাদের পরিচর্যা করা হলে দেশ ও সমাজের জন্য তারা অবদান রাখতে পারবে। এই শিশুদের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন ও সহযোগিতা। পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি মানুষ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসকের হল রুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এ কথাগুলো বলেন।

তিনি আরও বলেন— ‘একসময় আমাদের দেশে অটিজম সমস্যাকে তেমন গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হতো না। কিন্তু বর্তমান সরকার এ বিষয়টিকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল) অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে দেশে—বিদেশে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা আন্দোলন অন্য উচ্চতা পেয়েছে।’

মেয়র বলেন, অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা প্রয়োজন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে অটিস্টিক শিশুদের জন্য আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে। সিলেট পৌরসভা থাকাকালীন সময় নগরীর শেখঘাট এলাকায় একটি অটিজম কেয়ার ও স্কুলে সহযোগিতা করত পৌরসভা। ওই প্রতিষ্ঠানে সবধরনের সহযোগিতা করবে সিসিক। অটিজম নিয়ে কাজ করে নগরীর সবগুলো প্রতিষ্ঠানে বিশেষ নজর রাখবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর যৌথভাবে উদযাপন করে হচ্ছে ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘সচতেনতা—স্বীকৃতি—মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা।’

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবী আব্দুল জব্বার জলিল, সাংবাদিক কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া নাসরীন। এসময় অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে সম্পৃক্ত স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থার নেতৃবৃন্দ ও প্রতিবন্ধী শিশুরা উপস্থিত ছিলেন

অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সম্মানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দফতর, সংস্থা ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নীলবাতি প্রজ¦লন করা হয়।—বিজ্ঞপ্তি

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *