‘মানবজাতির কল্যাণে যিনি সময় দিয়েছেন তিনি সবচেয়ে পবিত্র কাজ করেছেন

বর্তমান বিশ্বে হিংসা,বিদ্বেষ, উগ্রবাদ যেভাবে বাড়ছে সেটাকে প্রতিরোধ করতে শান্তির ললিত বাণী আমাদের ছড়িয়ে দিতে হবে। একে অপরকে শ্রদ্ধা, দয়া, ভালবাসার মধ্য দিয়েই আমরা টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি।

১৪ মার্চ বৃহষ্পতিবার  সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে  অনুষ্ঠিত শ্রীরামকৃষ্ণদেবের  ১৮৯তম আর্বিভাব তিথি ও বাৎসরিক উৎসবের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজে কিছু উগ্রবাদি আছে যারা নিজেদের মতকে মনে করে শ্রেষ্ঠমত। এ মনমানসিকতাকে পরিহার করা উচিত।

বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিতে পারে। ইউরোপে রেঁনেসা হওয়ার অনেক আগেই আমাদের কবিরা বলে গেছেন, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। ধর্ম- নয়, বর্ণনয়, গোত্র নয়-  মানবজাতিকে ঈশ্বরের বিশেষ উপহার হিসেবে দেখে সবার প্রতি সম্মানবোধ, শ্রদ্ধাবোধ জানিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

উপাধ্যক্ষ ( অব.) সুষেন্দ্র কুমার পালে সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আলোচক হিসেবে ছিলেন মদন মোহন সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ সর্বাণী অর্জুন, শাবিপ্রবি’র গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ, এমসি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মণিকা রাণী বণিক।

জয়শ্রী দেব জয়ার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী চন্দ্রনাথানন্দ ও ধন্যবাদ বক্তব্য দেন এডভোকেট সন্তু দাশ।

এরপর সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত নিবেদন করেন, পূর্নিমা রায়, প্রণতি ভট্টাচার্য্র, সুমনা আজিজ, প্রভাতী দাস দুলু, মুন্না দত্ত, ডা. শতাব্দী চৌধুরী, বৈজয়ন্তী ভট্টাচার্য, সুদীপ্তা পাল শিউলি, অঞ্জনা দাস প্রমুখ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *