জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের গোলাপগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে হামলায় ৮ জন আহত

জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ওই প্রবাসীর ভাই-ভাতিজা সহ অন্তত ৮ জনকে আহত করা হয়েছে। গত শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের শানকপুর গ্রামে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুম বেলালের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় আহতদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার পরদিন শনিবার (৯ মার্চ) এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুম বেলালের বড় ভাই আহমদ জলিল বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭ থেকে ৮জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ০৬।
হামলায় আহতরা হলেন- গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের শানকপুর এলাকার মৃত আব্দুছ ছত্তারের পুত্র আক্তার হোসেন(৪০), একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুছের পুত্র আব্দুল মুকিত জুনেল(৪০), বসারত আলীর পুত্র ইসমাইল আলী(৫২) ও মৃত মস্কন্দর আলীর পুত্র ফলিক আহমদ (৫৮)। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও বাকীরা প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন।

স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের শানকপুর এলাকার আব্দুল কুদ্দুছের পুত্র আহমদ জলিলের একই এলাকার মৃত মছির আলীর পুত্র ফজলু মিয়া গংদের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিলো। ইতোপূর্বে আহমদ জলিল নিজের জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করলে ফজলু মিয়ার পক্ষের লোকজন তার কাছে চাঁদা দাবী করেন। আমমদ জলিল চাঁদা দিতে চাইলে তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি প্রদান করে।
ঘটনার দিন শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে আহমদ জলিল তার মালিকানাধীন জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে বিবাদীরা তাদের বাঁধা প্রদান করে। তখন আহমদ জলিল বাঁধা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তিনি সহ তার স্বজনদের উপর হামলা চালায়। হামলায় আহমদ জলিল একটুখানির জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা স্বজনরা মারাত্বক ভাবে আহত হন। আহতের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে থাকা রড, সিমেন্ট সহ প্রায় ১ লক্ষ টাকার নির্মাণ সামগ্রী বিবাদীরা নিয়ে গেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এবিষয়ে মামলার বাদি আহমদ জলিল জানান, হামলার কারণে আমরা আতঙ্কে আছি। এঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। বিবাদীরা এখনো আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। তিনি দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাছুদুল আমিন বলেন,এ বিষয়ে মামলা হয়েছে, আসামীদের গ্রেফতারে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে, তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *