সিলেটের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশের ভোরে সিলেটের প্রথম প্রভাতফেরি আয়োজন দিয়ে তাদের কর্মসূচি শুরু করে।
২১শে ফেব্রুয়ারী ভোর ৬ টায় সারদাহল সম্মুখ থেকে বের হয় নগ্ন পায়ে প্রভাতফেরি। সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত কণ্ঠে ভাষার গান গিয়ে নাট্যকর্মীরা অংশ নেন। সকাল থেকে মুজিব জাহান রেডক্রিসেন্ট রক্ত কেন্দ্রের সহায়তায় রক্তদান কর্মসূচি শুরু হয়।
প্রতিবছরের ন্যায় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট। বিকেল চারটা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট এর সভাপতি রজত কান্তি গুপ্তের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদের পরিচালনায় কথাকলি সিলেট, গ্রীন ডিজেবল, মুক্তাক্ষর, ছন্দ নৃত্যালয়, সিঁথিকণ্ঠ নৃত্যাঙ্গন, নাট্যম সংগীত একাডেমি, তারুণ্য সিলেট, মুরারিচাঁদ কবিতা পরিষদ, বিশিষ্ট বাউল শিল্পী সূর্যলাল দাস, গণসংগীত শিল্পী অংশুমান দত্ত অঞ্জন ও সংগীতশিল্পী পল্লবী দাস মৌ অংশ নেন। রাত ৯টায় সহস্রাধিক দর্শক শহিদমিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে সাংস্কৃতিক জাগরণের মধ্য দিয়ে ভাষা ও সংস্কৃতির সুস্থ বিকাশে অঙ্গিকার ব্যাক্ত করেন।
“ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ বিনির্মানে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার অঙ্গিকার”
কমেন্ট