সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ করেছে। মিড লেভেলের কারিগরি জনশক্তি যে দেশের কর্মক্ষেত্রে যত বেশি নিয়োজিত, সেই দেশ তত বেশি উন্নতি করতে পেরেছে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নাই। আমরা আশাকরি, সরকার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। তাহলে দেশের বৃহৎ বেকার যুবশক্তি কমের্র হাতিয়ারে পরিণত হবে। তাই নিজেদের গড়ে তুলতে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় নিজেদের গড়ে তোলার আহবান জানান। শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এই সুন্দর আয়োজন করায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি (১০ ফেব্রুয়ারি) শনিবার সিলেট সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (ভোকেশনাল) এর ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ৩দিন ব্যাপী মিলনমেলার শেষ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের সভাপতি শাহ মোঃ হারুন অর রশিদ চিশতির সভাপতিত্বে ও পরিকল্পনা সম্পাদক হাবিবুর রশিদ জনি ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাকিব হাসানের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ সন্তোষ চন্দ্র দেবনাথ, সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ, এলাইন্স অফ সাউথ এশিয়ান অ্যামেরিকান লেবারের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ রাসেল চৌধুরী, কামালবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হক, সমাজসেবী মুফতি কমর উদ্দিন কামু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি, এশিয়ান টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি রোটারিয়ান শাহজাহান সেলিম বুলবুল পিএইচএফ, সহ-সভাপতি এডভোকেট আবু সালেহ চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ইসমত আরা ইমা। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার দে, রেজিষ্ট্রেশন সম্পাদক আনিসুর রহমান, সহ- রেজিষ্ট্রেশন সম্পাদক আরিফ আহমদ আসিফ। অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিবৃন্দ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করেন এবং সিলেটের জনপ্রিয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে অতিথিরা শতবর্ষ ভোকেশনাল নামে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। বিজ্ঞপ্তি
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নাই : এডিশনাল এসপি শেখ মোহাম্মদ সেলিম
কমেন্ট