৫ দফা দাবি না মানলে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতী : মো: জাকারিয়া আহমদ

৫ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং চট্ট-৭০৭ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্টে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং চট্ট-৭০৭ এর সভাপতি মো: জাকারিয়া আহমদ এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরি সদস্য ও শাহী ঈদগাহ উপ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম বরকত আলীর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং চট্ট-৭০৭ এর সাধারণ সম্পাদক মো: আজাদ মিয়া, ৭০৭ এর কার্যকরি কমিটির সভাপতি মো: সুন্দর আলী খান, সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মো: সাহাবুুদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক মো: আলী, ৭০৭ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো: আলতাব হোসেন চৌধুরী, এম জলিল, লিটন আহমদ, সুজন মিয়া, মুহিবুর রহমান এপল, সেবুল আহমদ, রাজা আহমদ রাজা, রফিক মিয়া, মো: এবাদুল ইসলাম, দয়ামীর উপ পরিষদের সভাপতি মকবুল হোসেন, খালের মুখ উপ পরিষদের সভাপতি খলিল খান।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-আঞ্চলিক উপ কমিটির মধ্যে শাহী ঈদগাহ উপ পরিষদের সভাপতি মো: শাহ আলম, টিলাগড় উপ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম খান, সুরমা গেইট উপ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা উপ পরিষদের সহ-সভাপতি শিবলী আহমদ, কামরুল ইসলাম, গহরপুর উপ পরিষদের সম্পাদক ওয়ারিছ আলী, তামাবিল উপ পরিষদের সম্পাদক মখলিছ মিয়া, শাহী ঈদগাহ উপ পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক শেখ বাবুল মিয়া, হানিফ আহমদ, তামাবিল উপ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হান্নান মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা উপ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ইউসুফ মিয়াম, আসকর আলী,  রাসেল আহমদ সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক উপ কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে জাকারিয়া আহমদ বলেন, আজ দীর্ঘদিন যাবৎ সিলেটে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার রেজিষ্ট্রেশন প্রদান বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকরা রোজগার না করতে পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে। কিন্তু সিলেটের ট্রাফিক বিভাগের অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারা পরিবহন শ্রমিকদের অযথা হয়রানি করছে। রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলেই মামলা ও জরিমানা প্রদান করে যাচ্ছে। প্রতিদিন গাড়ি চালিয়ে শ্রমিকরা এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা রোজগার করে। অথচ ট্রাফিক পুলিশ অযথা মামলা জরিমানা করে চালকদেরকে হয়রানি করছে। যাত্রী পরিবহণেও পাঁচ জনের জায়গায় তিনজন না নিলে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করছে। তাদের কারণে যাত্রীদেরও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। ট্রাফিক বিভাগ পরিবহণ শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৫ দফা দাবি না মানলে কর্মবিরতী দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, বিআরটিএর দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে চালকরা সঠিকভাবে লাইসেন্স পাচ্ছে না। আর সে সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ট্রাফিক বিভাগের কিছু পুলিশ কর্মকর্তারা। সিলেটের সর্ববৃহত শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বশীল হলেও আমাদের কোন প্রতিনিধি আঞ্চলিক পরিবহণ কমিটি আরটিসি সিলেট জেলা ও মেট্রোতে শ্রমিক প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে হবে।
৫ দফা দাবি গুলো হলো-ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তিতে ও রুট পারমিট, ফিটনেস নবায়নে বিআরটিএ সিলেটের সকল প্রকার দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনতীবিলম্বে প্রত্যাহর করতে হবে। শো-রুম থেকে ক্রয়কৃত ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য ব্যাংকে টাকা জমাদানকারী গাড়িগুলোকে রেজিষ্ট্রেশন দিতে হবে। সিলেট জেলা ও মেট্রো আরটিসিতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার শ্রমিক প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে হবে। সিলেট জেলায় ও মহানগরে অটোরিক্সা পার্কিং স্থান দিতে হবে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে ও ব্যাটারি চালিত রিক্সা, অটোবাইক, টমটম সহ ইত্যাদি জাতীয় অবৈধ যান দ্বারা যাত্রী পরিবহণ বন্ধ করতে হবে। উপরোক্ত ৫ দফা দাবী আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে শ্রমিক কর্মবিরতী সহ কঠোর কর্মসূচী পালন করা হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *