ওয়াগনারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল যুক্তরাজ্য

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: রাশিয়ার বেসরকারি আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাজ্য। গত সপ্তাহে ওয়াগনারের বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি।

শুক্রবার সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে লন্ডন। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করার পর ওয়াগনারের সব সম্পদ সন্ত্রাসী সম্পত্তি হিসেবে গণ্য এবং বাজেয়াপ্ত করা যাবে।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো সংগঠন সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হলে সেটিকে সন্ত্রাসবাদ আইন ২০০০-এর অধীনে দেশটি ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দিতে পারে।

এ বিষয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্র্যাভারম্যান বলেন, ওয়াগনার একটি সহিংস ও ধ্বংসাত্মক গোষ্ঠী। ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে তারা। পুতিনের শাসনব্যবস্থা যে দানবকে সৃষ্টি করেছে, সময় এসেছে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা।

গত সপ্তাহে আদেশের প্রস্তাবের পর ব্র্যাভারম্যান ওয়াগনারকে ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেছেন, ‘ওয়াগনারের অব্যাহত অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড ক্রেমলিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্যই অব্যাহত রয়েছে। তারা স্পষ্টতই সন্ত্রাসী এবং এই নিষেধাজ্ঞার আদেশটি যুক্তরাজ্যের আইনে তা পরিষ্কার করবে।

আদেশে বলা হয়েছে, ওয়াগনারকে সমর্থন করা একটি ফৌজদারি অপরাধ। যার মধ্যে রয়েছে গোষ্ঠীটির কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সভার আয়োজন, লক্ষ্যগুলোর প্রতি সমর্থন প্রকাশ এবং ওয়াগনারের পতাকা বা লোগো প্রদর্শন করা।

২০১৪ সালে ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নেতৃত্বে ওয়াগনার আধাসামরিক গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর দ্রুত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অধীনে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একটি প্রধান হাতিয়ার হয়ে ওঠে।

গত জুলাইয়ে ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা প্রিগোজিনের নেতৃত্বে রাশিয়ায় ঢুকে বিদ্রোহ করে কয়েক হাজার সশস্ত্র সদস্য। এ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক চরম অবনতি হয়। সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি বিমানে ভ্রমণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন প্রিগোজিন। পুতিনের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন পশ্চিমা নেতারা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *