এপিএস হারুন বলেন, এই ধর ধর ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী’-১০ থেকে ১২ জন সদস্য আমাকে লাথি চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: শাহবাগ থানায় নিয়ে শনিবার রাতে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম বলেন, থানার মধ্যে আমি প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সবাই আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এডিসি হারুন বলেন, এই ধর ধর ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী। এর পর প্রায় ১০ থেকে ১২ জন সদস্য আমাকে লাথি, চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। মুখ নিরাপদ রাখতে আমি দুই হাত দিয়ে ধরে রাখি।

এ সময় এডিসি হারুন একটি পিস্তলের পেছনের অংশ দিয়ে আমার মুখের সামনের অংশে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

বর্তমানে শারীরিক অবস্থার বিষয়ে এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, সামনের অনেকগুলো দাঁত আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। কিন্তু পড়ে যায়নি। নাকের ওপরের অংশের হাড় ভেঙে গেছে। নাকের সার্জারি করতে হবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। তরল ও নরম খাবারের বাইরে কিছুই খেতে পারছি না।

শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধর করেন এডিসি হারুন অর রশীদ। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। হারুনকে প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও পরে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়।

এ ঘটনায় ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ গতকাল দাবি করেন, এডিসি হারুনকে প্রথমে মারধর করেন সানজিদার স্বামী এপিএস আজিজুল হক মামুন। সেই ঘটনাও তদন্ত করা উচিত।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত, সেই নারী এডিসি সানজিদার বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। সর্বশেষ হারুনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়ান বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়টি বেশ কয়েক মাস ধরে তার স্বামী ও রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল গোপনে নজরদারি করছিলেন।

ঘটনার পর ডিএমপি সদর দপ্তরে কর্মরত এডিসি সানজিদা অন্তরালে থাকলেও মঙ্গলবার মুখ খুলেছেন গণমাধ্যমে। তার দাবি, স্বামী মামুনই প্রথম এডিসি হারুনের গায়ে হাত তোলেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *