বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়নে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: বাংলাদেশে সাংবাদিক ও মিডিয়াব্যক্তিত্বদের ওপর সরকারের পদ্ধতিগত এবং ব্যাপক নিপীড়নের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

সেখানে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে সাংবাদিক নিপীড়নের বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দুই সিনিয়র সাংবাদিককে আদালত সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং নিউইয়র্কে নির্বাসিত একজন সাংবাদিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সরকার সাংবাদিক-প্রতিবেদক ও সিনিয়র সম্পাদকদের যে হয়রানি করছে, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সাংবাদিকরা অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেন। তাদের কাজ দুর্নীতি উন্মোচন করে, জনসাধারণের তথ্য জানার অধিকার রক্ষা করে। মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হয়, সে সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার সুযোগ দেওয়া দরকার। তাদের নির্বাচিত নেতাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং আমি এখানে প্রতিদিন যা বলি তার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করি।

তিনি আরও বলেন, হয়রানি, সহিংসতা বা ভয়ভীতি ছাড়াই সাংবাদিকদের কাজ করতে দিতে হবে। এবং সরকারকে জবাবদিহি করার চেষ্টা করে যাওয়া সাংবাদিক এবং মিডিয়াব্যক্তিত্বদের ওপর বাংলাদেশ সরকারের পদ্ধতিগত ও ব্যাপক নিপীড়নের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।

এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। এই সফরে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচনে মার্কিন হস্তক্ষেপের বিষয়ে কথা বলেন তিনি। লাভরভ বলেন, বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপ প্রতিহত করবে রাশিয়া।

তার এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ম্যাথিউ মিলার বলেন, প্রতিবেশী দেশের নারী-শিশুর ওপর নির্বিচারে হামলা করা রাশিয়ার মুখে অন্য দেশে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলা মানায় না।

তিনি বলেন, যে দেশ তার প্রতিবেশী দেশের ওপর নির্বিচারে হামলা চালায়, যে দেশের ছোড়া বোমার আঘাত থেকে স্কুল, হাসপাতাল ও আবাসিক ভবন রক্ষা পায় না, সে দেশের মুখে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলা মানায় না।

তিনি আরও বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করাই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *