ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সাকিবের ফিফটি

স্পোর্টস ডেস্ক: চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে দল যখন কোণঠাসা হয়ে পড়ে তখন হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৯.১ ওভারে ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া দলকে গর্ত থেকে টেনে তুলেন সাকিব আল হাসান। তাকে সঙ্গ দেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

পঞ্চম উইকেটে তারা ১২০ বলে ১০০ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতেই ক্যারিয়ারের ২৩৮তম ওয়ানডেতে ৫৪তম ফিফটি হাঁকান সাকিব। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তিনি ৯টি সেঞ্চুরি করেছেন।

বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নাসিম শাহের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ।

নাসিম শাহের শর্ট অব লেংথ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ফখর জামানের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরেন মিরাজ। তার বিদায়ে ১.১ ওভারে ০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ১১২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে সুপার ফোরে তুলে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন মিরাজ।

আফগান পরীক্ষায় সফল হওয়ার কারণে পাকিস্তান ম্যাচেও মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামানো হয়। এদিন সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার।

মিরাজ আউট হওয়ার পর ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ওপেনার লিটন কুমার দাস। ১৩ বলে চার বাউন্ডারিতে ১৬ রান করা লিটন শাহিন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অব লেংথ বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন।

হারিস রউফের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে রউফের হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার নাইম শেখ। তিনি ২৫ বলে চার বাউন্ডারিতে ২০ রানে ফেরেন।

৯.১ ওভারে দলীয় ৪৭ রানে হারিস রউফের দ্বিতীয় শিকার হন তাওহিদ হৃদয়। রউফের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তাওহিদ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *