বাচ্চার খাবার খেয়ে ফেলায় ১০ বছরের গৃহকর্মীকে হত্যা: পুলিশ

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:  গৃহকর্ত্রী সাথীর বাচ্চার খাবার খেয়ে ফেলায় রাজধানীর কলাবাগানে শিশু গৃহকর্মী হেনাকে (১০) নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।

রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফ হোসেন। এর আগে গতকাল যশোর থেকে পলাতক আসামি সাথীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আশরাফ হোসেন জানান, শিশুটিকে ডাল-ঘুটনি দিয়ে পিটিয়ে ও পা দিয়ে গলা চেপে নির্মমভাবে হত্যা করেন গৃহকর্ত্রী সাথী পারভীন। শিশুটির মৃত্যুর পর মোবাইল ফোন রেখে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করতে থাকে গৃহকর্ত্রী সাথী। পরে একসময় যশোরে চলে যায় সাথী।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৬ আগস্ট সকালে রাজধানীর কলাবাগানের একটি বাসার দরজা ভেঙে বিছানায় একটি কাজের মেয়ে লাশ দেখতে পায়। পরে লাশটি শনাক্ত করে জানা যায়- এটি একটি এতিম শিশু ও গৃহকর্মী মোছা. হেনা। সে মোছা. সাথী পারভীন ডলির বাসায় কাজ করতো। ২০১৯ সাল থেকে সাথী ওই বাসায় থাকেন।

২০২০ সালে হেনাকে নিয়ে এসে কাজের মেয়ে হিসেবে রাখা হয়। তার শরীরে অনেক নতুন ও পুরনো আঘাতের চিহ্ন, মুখে ফেনা, শরীর ফোলা দেখতে পায়। বাসার সিসি ফুটেজ থেকে আমরা আরও দেখতে পাই- এই শিশুটির গলায় পা দিয়ে গৃহকর্ত্রী হেনা তাকে নির্যাতন করছে। সাথী ঘটনার পরপর তার বাচ্চা নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়েছে। বাসা থেকে আমরা তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করি, যা সাথী ব্যবহার করতো।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দা-বটি দিয়ে শিশুটিকে নির্যাতন করে সাথী। কখনো লাঠি দিয়ে নির্যাতন করেছে। হেনার অপরাধ হলো- তার বাচ্চার জন্য রাখা খাবার খেয়ে ফেলতো। তার বাচ্চার খেলার সাথী হিসেবে একজন আরেকজনকে মারে এমন ছোটখাটো বিষয়ে এই হত্যাকারী তাকে নির্যাতন করে। এই নির্যাতনের ফলে বাচ্চাটি মৃত্যুবরণ করে। বাচ্চাটি বিছানায় মল ত্যাগ পর্যন্ত করে ফেলে।

কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের একটি বাসায় শিশু সন্তান এবং ১০ বছরের গৃহকর্মীকে নিয়ে বসবাস করতেন সাথী। গত তিন বছর ধরে শিশুটি ওই বাসায় কাজ করছিল।

গত ২৫ আগস্ট শিশুটিকে নির্যাতন করা হয়। শিশুটি মারা যাওয়ার পর পালিয়ে যান সাথী।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *