বাংলাদেশ চেয়ে পাবে না তা নয়, আমরা বলিনি: প্রধানমন্ত্রী

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না, বিষয়টি তেমন না। আমরা কাউকে কিন্তু বলিনি— আমাদের ব্রিকসের সদস্যপদ এখনই দিতে হবে। আমরা জানি, বিএনপি বা বিরোধীরা এটি নিয়ে বেশ উল্লাস করবে যে, আমরা ব্রিকসের সদস্যপদ পাইনি।

ব্রিকসের সদস্য পদ পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের কোনো চিন্তা ছিল না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কারণে সদস্য হওয়ার চেষ্টাও করিনি। ব্রিকস যখন প্রতিষ্ঠা হয়, তখন থেকেই পাঁচটি উদ্যোক্তা দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ ছিল।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। এবার তারা কিছু সদস্য নেবে সেটাও আমরা জানতাম। এ বিষয়ে আমাদের মতামত চাইল। আমরা মতামত দিয়েছে। কিন্তু সদস্য হওয়ার চেষ্টা করিনি।

বিএনপির কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অপজিশন (বিএনপি) থেকে বলছে পাইনি (ব্রিকসের সদস্যপদ)। বাংলাদেশ কিছু চাইলে পাবে না সেটা নয়। বাংলাদেশের মর্যাদা বিশ্বে এখন এমনই। বিএনপির আমলে দেশ ছিল হাত পেতে চলার, ভিক্ষা নিয়ে চলার দেশ। বাংলাদেশ আর সেই পরিস্থিতিতে নেই। এটা আপনাদের মাথায় রাখতে হবে।

এ সময় সরকারপ্রধান ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমাদের ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণ করাটা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্মেলনে অংশ নেওয়ায় আমাদের জন্য দুনিয়ার দুয়ার খুলে গেছে। সম্মেলনের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার আমন্ত্রণে ২২ থেকে ২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে শেষে গত রোববার তিনি দেশে ফিরেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *