মাহমুদউল্লাহর কি আর মাঠে ফেরা হবে?

স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি মাসের ৩০ তারিখ পাকিস্তানে শুরু হবে এশিয়া কাপ। ৫ অক্টোবর ভারতে শুরু হবে আইসিসি বিশ্বকাপ। আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ সামনে রেখে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লির তত্ত্বাবধানে হয় ইয়ো ইয়ো টেস্ট।

ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ মার্ক ছিল ১৮.৬। এতে সর্বোচ্চ ১৯.৫ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ৩৭ বছর বয়সি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পেয়েছেন ১৭.৬। ন্যূনতম স্কোর না তুলতে পারলেও বয়স বিবেচনায় ফিটনেস পরীক্ষা উতরে যান মাহমুদউল্লাহ।

গত মার্চে সর্বশেষ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজের দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বাদ পড়েন আয়ারল্যান্ড সিরিজে। বিসিবির পক্ষ থেকে কারণ হিসেবে বলা হয় তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।

তবে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের আগে থেকেই অনুশীলনে বেশ সিরিয়াস ছিলেন রিয়াদ। তখন অনেকে ধারণা করেছিলেন, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে হয়তো ফেরার কোনো বার্তা পেয়েছেন ৩৭ বছর বয়সি অলরাউন্ডার। কিন্তু গতকাল এশিয়া কাপের ১৭ জনের দলে মাহমুদউল্লাহর সুযোগ মেলেনি।

এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ স্ট্যাটাসে ক্ষোভ ঝেড়েছেন রিয়াদের স্ত্রী জান্নাতুল কাওসার মিষ্টি। ।

রিয়াদপত্নী লিখেছেন, বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানের স্ত্রী হিসেবে আমি গর্ববোধ করি এবং আজীবন করব। সে নিজের যোগ্যতায় সবসময় দলে জায়গা পেয়ে আসছেন। আমি এখনো গর্ববোধ করছি। কারণ আমার স্বামী খারাপ খেলে দল থেকে বাদ পড়েনি! প্রাথমিক দলে থেকে কঠোর অনুশীলন করে চেষ্টা করেছেন এবং ফিটনেস টেস্টেও ফেল করেননি। তাই যথাযথ কারণ বিশ্লেষণ করে তাকে বাদ দিলে উপকৃত হতাম। আমি দোয়া করি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ আর কোনো ক্রিকেটার যেন অবহেলার স্বীকার না হন, সুযোগ বঞ্চিত না হন, সাইলেন্ট হিরো না হন!

এদিকে মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেওয়া নিয়ে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। এর পর টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের একটা পরিকল্পনা দিয়েছে। সামনে কোন দলের সঙ্গে কীভাবে খেলা হবে এসব নিয়ে। ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে এবং অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে সব ঠিক থাকলে এশিয়া কাপের দলটাই বিশ্বকাপের দল ধরে নেওয়া হচ্ছে। সে হিসাবে শিগগির বাংলাদেশ দলে মাহমুদউল্লাহর ফেরা কঠিনই। কারণ, মাহমুদউল্লাহ টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে অনেক দিন হলো। এখন ওয়ানডের দুয়ারও শক্তভাবে বন্ধ হয়ে গেল তার সামনে। এতেই প্রশ্নটা এসে যাচ্ছে, মাহমুদউল্লাহর কি আর ফেরা হবে?

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *