‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ একটি নামে নতুন সংগঠন গড়ে তুলেছিল

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে জঙ্গি আস্তানা থেকে নারী-শিশুসহ ১৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা। আটককৃতদের মধ্যে ৩ শিশু, ৬ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ।

‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে একটি নতুন জঙ্গি সংগঠন গড়ে তুলেছিল আটককৃতরা।  তবে এই অভিযানে জঙ্গি সংগঠনকে অংকুরেই নস্যাৎ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান আসাদুজ্জামান।

সিটিটিসিপ্রধান আসাদুজ্জামান জানান, তাদের কাছে তথ্য ছিল ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের। কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টিউলি গ্রামের দুর্গম পাহাড়ে জঙ্গি আস্তানা গড়ে তোলে। এই সংগঠনের প্রধানের নামও নিশ্চিত হওয়া গেছে। মাত্র ৭ দিন থেকে তারা দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করে। এখান থেকে নারী-শিশুসহ মোট ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন— সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানার মাইজবাড়ী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে রাফিউল ইসলাম (২২), কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার কালনা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে হাফিজ উল্লাহ (২৫), নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার রসুলপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে খায়রুল ইসলাম (২২), তার স্ত্রী মেঘনা (১৭) এবং তাদের ১২ মাসের শিশু আবিদা।  সাতক্ষীরা থানা ও জেলার দক্ষিণ নলতা গ্রামের ওমর আলীর পুত্র শরিফুল ইসলাম (৪০), পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার শ্রীপুর গ্রামের আব্দুস ছত্তারের স্ত্রী শাপলা বেগম (২২) ও তার ১৮ মাসের শিশুকন্যা জুবেদা ও হুজাইফা (৬), নাটোর জেলা ও সদর থানার চাদপুর গ্রামের সোহেল তানজীমের স্ত্রী মাইশা ইসলাম (২০), বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার নিজবলাই গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী সানজিদা খাতুন (১৮), সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার দক্ষিণ নলতা গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪০) এবং তার মেয়ে হাবিবা বিনতে শফিকুল (২০)।

আটককৃতদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার, ৫০টি ডেটোনেটর, আড়াই কেজি বিস্ফোরক, প্রশিক্ষণসামগ্রী ও বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে।

নাম অপারেশন অব হিলসাইট। এখানে অভিযান পরিচালনার পর কেউ পালিয়ে যেতে পারেনি। এখানে যারা আসা-যাওয়া করত তাদের নামে তালিকা আছে।

এদিকে কর্মধা ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মাহমুদা আক্তার জানান, যে বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে ওই বাড়ির বাসিন্দা তারা নয়। কয়েক দিন থেকে তারা এখানে বসতি গেড়েছে। এলাকার কারও সঙ্গে খুব একটা মিশত না। চলাচল ছিল সন্দেহজনক।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *