নিজস্ব প্রতিবেদক-মামুন গাজী: সিলেট মদিনা মার্কেট ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশালদেহী হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করে। যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় ভয়ে সেখান দিয়ে যেতে পারছে না মানুষ ও পথচারীসহ এমন কি যানবাহন। পিঠে ভাব নিয়ে বসে আছেন মাহুত। আর এই মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতিটি এ ভাবে। তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে প্রতিটি দোকানির কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। টাকা না দিলে উল্টো ভয় দেখাচ্ছে মাহুত। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেটের মদিনা মার্কেটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭:২০ মিনিটে বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে যত ইচ্ছা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। শুধু দোকানেই সীমাবদ্ধ নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এই মাহুতকে।
মদিনা মার্কেটে মুদি দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাত দোকানদারও রেহাই পায়েনা, আর একটি দোকানে হঠাৎ বিশাল দেহের হাতিটি মাহুতের ইশারা ইঙ্গিতে শুঁড় এগিয়ে দিল দোকানের মধ্যে, সঙ্গে সঙ্গে দোকানদার ভয়ে ২০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দিলেন।
যদি টাকা দিতে দেড়ি হয় হাতিটি ডাকতে শুরু করে এতে ভয় টাকা দিয়ে দেয়। তাছাড়া অনেক সময় দোকানের শুঁড় দিয়ে ভাঙচুরও করে হাতিটি। এজন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে বিদায় করে।
সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝে-মধ্যেই হঠাৎ করে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করে এরা। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরিয়ে নেওয়া হয় না। অনেক সময় সাধারণ মানুষ, শিশু বাচ্চাসহ মহিলা ক্রেতারা হাতি দেখে ভয় পান। এতে ব্যবসায়ের ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলেন, দোকান থেকে চাঁদা উঠানো শেষ হলে হাতিগুলো রাস্তায় নামে। শুধু দোকানই না এরা চলন্ত গাড়ি থামিয়ে দিয়ে চাঁদা আদায় করেন।
