পায়রা ও মোংলায় বিনিয়োগের আগ্রহ ভারতের

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: পায়রা সমুদ্রবন্দর, চট্টগ্রামের বেটার্মিনাল ও মোংলা বন্দরে এলওসির আওতায় বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ওই বৈঠকে ভারতের হলদিয়া পর্যন্ত নৌপথে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্য সংকট দূর করা, বাংলাদেশের নৌযান শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাশ দেওয়া এবং নাবিকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়ার অনুরোধ করেন নৌপ্রতিমন্ত্রী। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর এবং দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাধিকাপুর স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়। নৌপ্রতিমন্ত্রী রাধিকাপুর স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা দ্রুত চালুর ওপর জোর দেন।

বৈঠকের পর নৌপ্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অনেক স্থলবন্দরে আমাদের ইমিগ্রেশন চালু ছিল। কোভিডের সময় সেগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিছু কিছু ইমিগ্রেশন চালু হয়েছে, কিছুু এখনো চালু হয়নি। এগুলো যেন দ্রুত চালু করা হয়, এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, বৈঠকে বিশেষ করে বিরল-রাধিকাপুর স্থলবন্দর নিয়ে আলোচনা করেছি। কারণ এটা চালু ছিল। এ ইমিগ্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কয়েক হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে হচ্ছে। এগুলোর ব্যাপারে তিনি (হাইকমিশনার) পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রামগড় মৈত্রী সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি উদ্বোধন করেছিলেন। এখানে আমাদের সব অবকাঠামো হয়ে গেছে। প্রক্রিয়ার জন্য কাস্টমসে চলে গেছে। শুধু ইমিগ্রেশনের কারণে আমরা এ বন্দরটি চালু করতে পারছি না। অল্প সময়ের মধ্যে চালু করতে পারব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিলি­ যাচ্ছেন। তার (সফর) আগেও কিছু বিষয় আছে, এগুলো আমরা শেষ করতে পারি- এ কথাগুলো আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে কী আলোচনা হবে, সেটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানে। তবে যেহেতু দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করেছেন। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই যেন আমরা এর অপারেশনে চলে যেতে পারি। এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।

গোমতী নদী খননে অর্থায়নের জন্য ভারত আগ্রহ দেখিয়েছে জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, এর বাইরেও আমাদের আশুগঞ্জ বন্দরসংলগ্ন যে রাস্তা আছে, সেটা আমাদের বাংলাদেশের অর্থায়নে হচ্ছে। পোর্টটা ভারতীয় অর্থায়নে হচ্ছে। সেখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে, যেন এগুলো আমরা দ্রুত করতে পারি।

খালিদ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ক্রুজ সার্ভিস নিয়ে অনেকের আগ্রহ আছে। এ সার্ভিস চালু করতে বেশ কয়েকটি বেসরকারি অপারেটর আমাদের কাছে আবেদন করেছে। তারা চায় বাংলাদেশ থেকে কলকাতা পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার অথবা টুরিস্ট যাক। ভিসার ব্যাপারে আমরা বলেছি, তারা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, কোভিডের সময় আমাদের যেসব ক্রু ভারত যেত, তারা জাহাজ থেকে নামতে পারত না। এ বিষয়টি আমরা জানিয়েছি, যেন এটা রিলাক্স করে দেওয়া হয়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *