রোববার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি বলেন, ইসলামাবাদ আইজি আদেশ জারি করার পর পরই পুলিশ তার লাহোরের বাসায় গিয়ে পিটিআই প্রধানকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও বলেন, আদালত পিটিআই প্রধানকে আদিয়ালা কারাগারে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেও তাকে অ্যাটক কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। কুরেশি যোগ করেন, অ্যাটক কারাগারে সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে। সেখানে ‘বি ক্লাস’ (দ্বিতীয় শ্রেণির) সুবিধা দেওয়া হয় না।
এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ‘সি ক্লাস’ কারাগারে বন্দি করা হয়েছে দাবি করে পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে আইনজীবীদের অ্যাক্সেস দেওয়া হয়নি। তারা (আইনজীবী) পাওয়ার অফ অ্যাটর্নিতে তার স্বাক্ষর ছাড়া পিটিআই প্রধানের মুক্তির জন্য আপিল দায়ের করতে পারবেন না।
কুরেশি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে বলেন, পিটিআই প্রধানকে তার মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পলি ক্লিনিকের মেডিকেল বোর্ডে নেওয়া হয়নি; অথচ এটি করা প্রতিটি বন্দির ন্যায্য অধিকার এবং জেল প্রশাসনের তা করা বাধ্যতামূলক।
এ সময় ইমরান খানের জীবন ঝুঁকিতে থাকায় বিচার বিভাগকে নোটিশ দেওয়ার দাবিও জানান শাহ মাহমুদ কুরেশি।
এর আগে শনিবার তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সেই সঙ্গে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ ছাড়া আদালত পিটিআই প্রধানকে এক লাখ রুপি জরিমানা করার পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ বছরের জন্য সরকারি পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করে।