ঢাকা, ৫ আগস্ট ২০২৩: খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেছেন, দেশকে সংঘাতের হাত থেকে বাঁচাতে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে অবশ্যই নির্বাচনের ৩মাস পূর্বে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর উপর দমন-নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে আলেম ও উলামা এবং রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে বর্তমান সংকট সরকারই সৃষ্টি করেছে, তাদেরকেই তা নিরসন করতে হবে। একটি অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের পরিবেশ জাতি এবার আদায় করে ছাড়বে। তাই আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য খেলাফত মজলিসের ৮ দফার আন্দোলন আরো জোরদার করা হবে ইনশাআল্লাহ। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার প্রথম সাধারণ অধিবেশন ২০২৩ এ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আজ সকাল ৯টায় পল্টন কালভার্টরোডস্থ সীগাল রেস্টুরেন্টে ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মজলিসে শূরার অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক সিরাজুল হক, মহাসচিব- ড. আহমদ আবদুল কাদের, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মাওলানা জিয়াউল হক শামীম, মাওলানা ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্মমহাসচিব- এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক- এডভোকেট মিজানুর রহমান, আহমদ আসলাম, মাওলানা সামছুজ্জামান চৌধুরী, মাষ্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক এ এস এম খুরশীদ আলম, মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা শেখ সালাহউদ্দিন, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, ডা. আসাদুল্লাহ, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আবদুল হক আমিনী, সহকারী প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম, সহকারী অর্থ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, সহকারী দফতর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, সহকারী আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাইখুল ইসলাম, সহকারী উলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবদুল হাই, নির্বাহী সদস্য- মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, মাওলানা সাঈদ আহমদ, হাফেজ মাওলানা আবু সালমান, অধ্যাপক বজলুর রহমান, মুফতী আবদুল হামিদ, হাজী নূর হোসেন, মাওলানা আফতাব উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা জিন্নাত আলী, সাখাওয়াত হোসাইন মোহন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা নেহাল আহমদ, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, মাওলানা আজীজুল হক, সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, মো: আবুল হোসেন, মুফতি আজিজুল হক সহ মজলিসে শূরার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত উক্ত অধিবেশনে সংগঠনের সারাদেশের কাজের পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়াও ৪টি বিষয়ে প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। প্রস্তাবগুলো হলো:
প্রস্তাব-১: শোক প্রস্তাব:
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার প্রথম সাধারণ অধিবেশন ২০২৩ খেলাফত মজলিসের মরহুম আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছে। যিনি বিগত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ইফতারের সময়ে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমীন। একই সাথে এ অধিবেশন খেলাফত মজলিস সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা উপদেষ্টা মাওলানা তৈয়ব আলী, টাঙ্গাইল জেলা উপদেষ্টা এডভোকেট আবদুল মালেক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ উপদেষ্টা ও প্রবীণ চিকিৎসক ডা: মোস্তফা হোসেন, ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মোস্তফা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস বাগেরহাট জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবুবকর, ভারতের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা রাবে হাসান নদভী, হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রবীণ শিক্ষক মাওলানা মমতাজুল করীম বাবা হুজুর, কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের প্রধান প্রশিক্ষক মাওলানা শিব্বির আহমদ, সিলেট জামেয়া দরগাহর মুহতামিম মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং মহান আল্লাহর দরবারে সকলের জন্য মাগফিরাত কামনা করছে।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এ অধিবেশন গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত প্রায় ৪৫হাজার মানুষ, গত ৮ মার্চ গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকায় বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৮ জন মানুষ, ৪ মার্চ পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী অপতৎপরতা বিরোধী মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ আরিফ হোসেন এবং আওয়ামীলীগের কথিত শান্তি সমাবেশে সঙ্গর্ষে হত্যাকাণ্ডের শিকার পথচারী মাদ্রাসা ছাত্র শহীদ হাফেজ রেজাউল করিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ এবং মাগফিরাত কামনা করছে। এ অধিবেশন গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া প্রায় সাড়ে ৪ হাজার দোকান মালিকের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সকলের মাগফিরাত কামনা করছে। এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ ও ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসায় সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ করার জোর দাবি জানাচ্ছে।
প্রস্তাব-২: রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ প্রসঙ্গ-
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এ অধিবেশন গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে বিরাজমান সংকট জটিল আকার ধারণ করেছে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে নির্লজ্জ দলীয়করণের মাধ্যমে বিরোধী মত ও শক্তিকে নির্মূলের অপচেষ্টায় লিপ্ত। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করার অধিকার খর্ব করা হয়েছে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এ সরকারের অধীনে আর কোনভাবেই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিতর্কমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। শক্তিধর দেশগুলো বাংলাদেশকে নিয়ে বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি প্রাত্যহিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অধিবেশন আরো লক্ষ্য করছে যে, আওয়ামীলীগ বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচিতে একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। এতে সংঘাত বাড়ছে। সরকার ক্ষমতার জোরে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে সংকট সৃষ্টি করেছে। অথচ আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল আরো দু’টি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার অধীনে করা দরকার। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা তা চায় নাই। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ সরকার রূদ্ধ করে দিয়েছে। তাই এর সমাধান বর্তমান সরকারকেই করতে হবে তত্ত্বাবধায়ক অথবা দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে। এর কোন বিকল্প নেই।
আজকের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩মাস পূর্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার জোর দাবি জানাচ্ছে। সাথে সাথে সকল দলের রাজনীতি চর্চার অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করা, বিরোধী মতের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা, নির্যাতনের চর্চা বন্ধ করা এবং গ্রেফতারকৃত আলেম-উলামা ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি এবং দায়েরকৃত সকল হয়রানীমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
প্রস্তাব-৩: অর্থনৈতিক সংকট ও দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উচ্চমূল্য প্রসঙ্গ-
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এ অধিবেশন গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছে যে, দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এক চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বৈদেশীক মুদ্রার রিজার্ভ অস্বাভাবিকভাবে কমে যাচ্ছে। রিজার্ভের গ্রস-নিট হিসাবে ডলারের গড়মিলের তথ্য পাওয়া গেছে। রিজার্ভ সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় তেল-গ্যাস ও অন্যান্য পণ্য আমদানী ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না। সরকার এ অবস্থার জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করার চেষ্টা করলেও এর মূল কারণ হচ্ছে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুষ, দুর্নীতি, অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচার ও অব্যবস্থানা। মেগা দুর্নীতির কারণে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ধ্বস নেমেছে। দলীয় বিবেচনায় পরিচালনা পরিষদ নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকগুলো খালি করে ফেলা হচ্ছে। একটি পরিবারের হাতে এখন দেশের ১০টি ব্যাংক। ঝুঁকি নিয়ে ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য করার উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিতে আরো সংকট সৃষ্টি করবে। সাভারে স্থানান্তরের পর ট্যানারিগুলোতে পর্যাপ্ত পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ না দেওয়াতে চামড়া শিল্প আজ হুমকির সম্মুখিন। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার দেশের অর্থনীতিকে রুগ্ন করে ফেলেছে। বর্তমানে বেকার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আজকের এ অধিবেশন দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে সকল প্রকার ঘুষ-দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছে।
এ অধিবেশন গভীর উদ্বেগের সাথে আরো লক্ষ্য করেছে যে, চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সব জিনিসের দাম। দফায় দফায় জ্বালানী তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের নাভি:শ্বাস উঠেছে। আজকের এ অধিবেশন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সকল জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছে।
প্রস্তাব- ৪: সুইডেনের উগ্রবাদী নেতা কর্তৃক পবিত্র কুরআনের অবমাননা ও দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন প্রসঙ্গ-
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এ অধিবেশন তীব্র ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করেছে যে, সম্প্রতি পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের প্রধান মসজিদের সামনে এক সুইডিশ পাপোর্টধারী ব্যক্তির পবিত্র আল-কুরআনে অগ্নিসংযোগ করেছে। এর কয়েক মাস আগেও আরেক সুইডিশ নাগরিক কর্তৃক স্টকহোমে তুর্কী দূতাবাসের সামনে পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এখনও প্রতিনিয়ত কুরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটছে। পবিত্র কুরআন পোড়ানোর মত জঘন্য ও নিকৃষ্ট কর্মকা-ের অনুমতি দিয়ে সুইডেন সরকার চরম গর্হিত কাজ করেছে। বিশ্বের প্রায় দু’শ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে চরমভাবে আঘাত দিয়েছে। আজকের মজলিসে শূরার এ অধিবেশন সুইডেনে পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং অবিলম্বে সুইডেন সরকারকে বিশ্ব মুসলিমের কাছে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়া ও কুরআন অবমাননাকারী দুষ্কৃতিকারী ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছে।
এ অধিবেশন গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, অর্ধশতাব্দীরও বেশি কাল ধরে ইহুদীবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনীদের উপর অকথ্য নির্যাতন, গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। গত জুলাই মাসে পশ্চিমতীরে জেনিনের শরনার্থী শিবিরে ড্রোন হামলা করে ৮জন ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে। অবিলম্বে ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরাইলী বাহিনীর বর্বর হত্যাকা- বন্ধের দাবী জানাচ্ছে। একই সাথে আরাকান, কাশ্মীর সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলমানদের উপর উগ্র হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন, চীনের উইঘুরসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলমানদের উপর পরিচালিত গণহত্যা, নির্যাতন ও নির্মূল অভিযান অবিলম্বে বন্ধের জোর দাবী জানাচ্ছে।