‘ডেঙ্গু চিকিৎসায় ডাক্তার ও নার্সদের বিশেষ প্রশিক্ষণ’

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মশা কমলে মশার কামড় কমবে। মশার কামড় কমলে ডেঙ্গু রোগী কমবে। মশা না কমলে ডেঙ্গু রোগীও কমবে না। গত বছর বন্যা ও বৃষ্টিপাত বেশি থাকায় মশা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেঙ্গুও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পর্যন্ত ২শর বেশি মানুষ এ রোগে মারা গেছেন। আক্রান্ত ৪৫ হাজার রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও সম্প্রসারিত নতুন ভবনের উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশের প্রতিটি হাসপাতালে রোগীর জন্য আলাদা বেড রাখা হয়েছে। ঢাকা শহরের হাসপাতালগুলোর ভেতরে ৩ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকার বাহিরে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলেতে ৫০ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ডাক্তার ও নার্সদের ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। মাত্র ৫০ টাকায় ডেঙ্গু জ্বরের টেস্ট করা হচ্ছে। তাদের জন্য আলাদা ফ্রিজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছেন, ইউএনও স্বীকৃতি পেয়েছেন। স্থানীয় সহযোগিতা পেলে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিককে উন্নীতকরণের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ এই এলাকার মানুষের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলে ২টি মেডিকেল কলেজ ও ২টি বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছেন। তিনি সিলেটকে ভালোবাসেন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় করোনাকালীন আমরা মানুষের সেবা দিয়েছি। করোনাকালে বিশ্বে সবচেয়ে কম লোক বাংলাদেশে মারা যান।

উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে অনুষ্ঠানের শেষে তিনি উপস্থিত সবাইকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক এমপির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. শামিউল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শরিফুল হাসান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ হোসেন প্রমুখ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *