এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষ উদ্বোধন

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষের উদ্বোধন করেন। সোমবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফএও মহাপরিচালক কিউ ডংইউ।

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতি গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা ও দেশে কৃষি খাতে ‘সবুজ বিপ্লব’ সূচনাকারী বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে এ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং এফএওর মধ্যে পঞ্চাশ বছরের চমৎকার সম্পর্কের প্রতীক এই কক্ষ। তার দেশ বাংলাদেশ এফএও সদর দপ্তরে এই ছোট্ট অংশটি পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। এ আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী এফএও মহাপরিচালক ও তার দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে এফএওর সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশের জনগণকে নিপীড়ন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে মুক্ত করাই বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের লক্ষ্য ছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম বহনকারী এ কক্ষ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আমার জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সব মানুষের জন্য একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা এবং আমরা আমাদের সংগ্রামের প্রায় শেষপর্যায়ে পৌঁছেছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি আশা করছি- এই কক্ষে বসে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা আমাদের অর্জনগুলোকে এক মুহূর্তের জন্য হলেও ভাববেন। আমি আশা করি তারা সারা বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই প্রচারে আমাদের উদাহরণ থেকে অনুপ্রেরণা নেবে।

সদ্য সজ্জিত কক্ষটিতে বাংলাদেশের একজন কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের একটি চিত্র রয়েছে। ‘মুজিব বর্ষ’ ২০২০-২১ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের সময় এ শৈল্পিক কাজটি করা হয়েছিল। এটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেয়েছে। এটি আমাদের সাধারণ মানুষের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুর স্থানের সাক্ষ্য বহন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুধা ও অপুষ্টির বিরুদ্ধে তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে তাকে দেওয়া সেরেস অ্যাওয়ার্ডের একটি চিত্রও রয়েছে। যেটি ছিল দেশের কৃষক এবং কৃষি শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমের যথার্থ সম্মান।

শেখ হাসিনা গত মাসে তার জেনেভা সফরে বাংলাদেশের শ্রমিক ও মেহনতি জনগণের কথা বলেছেন জানিয়ে বলেন, এবার আমি আমাদের ১৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষের খাদ্য উৎপাদনে কৃষকদের অবদানের কথা বলতে এখানে এসেছি। তিনি বছরের পর বছর ধরে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জাতিসংঘের সমগ্র খাদ্য ব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *