সিলেট সিটি নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী হাসিমুখে পান বাটা গ্রহণ করেন

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক:  সিলেট জৈন্তাপুরে ১৭ পরগনা ব্যতিক্রমী এক মেলবন্ধন। সামাজিক ঐক্যের প্রতীকও। যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে জৈন্তাবাসী এক কাতারে দাঁড়ান ১৭ পরগনার ব্যনারে। সেখানে নেই কোনো দলীয় বিভেদ। সবাই ১৭ পরগনার বাসিন্দা নেতৃত্ব দেন পরগনার মুরুব্বিরা।
গত ৯ দিন ধরে জৈন্তাপুরে উত্তেজনা চলছে সিলেট পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন সঙ্গে ১৭ পরগনার দ্বন্দ্ব। গত ৯ জুলাই থেকে ঘটনা শুরু হয়েছে।

তবে গত ৭ই জুলাই দরবস্ত এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূঘটনায় ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনা’কে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ স্বরূপ ১৭ পরগনার নেতারা বাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এসব ঘটনায় বিষয়ে রবিবার (১৬ জুলাই) জৈন্তাপুরে ১৭ পরগনার বৈঠক ছিল ঐতিহাসিক ডেফলতলায়। দুপুরের পর থেকে সেখানে জড়ো হতে থাকেন পরগনার বাসিন্দারা।  কয়েক হাজার মানুষ এ বৈঠকে যোগ দেন। ঘটনার নিস্পত্তি করতে অবশেষ হস্তক্ষেপ করেন সিলেটের নবনির্বাচিত মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি ১৭ পরগনার রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী নিজ হাতে পানবাটা নিয়ে হাজির হন। সেখানে পরগনার সভাপতি আবু জাফর আবুল মওলা চৌধুরী জৈন্তাপুরের প্রবীণ মুরুব্বিয়নগণের সামনেই হাসিমুখে পান বাটা গ্রহণ করেন।  বৈঠকে জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ১৭ পরগনার মুরুব্বি কামাল আহমদ জানান, আমাদের চলমান আন্দোলনের একটি সম্মানজনক নিস্পত্তি চান ১৭ পরগনা বাসী।

নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জৈন্তাপুরের ডেফল তলায় আসেন। তিনি ১৭ পরগনার মুরুব্বিদের রাতে সিলেটের পুলিশ সুপারের ওখানে দাওয়াত দেন। দাওয়াতে বিবোদমান পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরাও আসেন। আমরা মেয়রকে সম্মান জানিয়ে পুলিশ সুপারের ওখানে দাওয়াতে যাই । বৈঠকে উভয় পক্ষের ‘মনের মিল হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে তিনি ধারণা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য: গত ৭ই জুলাই রাতে জৈন্তাপুরের দরবস্ত বাজার সংলগ্ন বাস ও টমটম মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে স্থানীয় ৫ জন বাসিন্দা নিহত হন। আহত হন আরও অনেকই। এঘটনায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকায় না থাকায় জনতা ক্ষোভ জানান।
দরবস্তে এক বৈঠকের সিদ্ধান্তে ৯ই জুলাই সিলেট তামাবিল সড়কে ১ ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ করে ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। ১০ই জুলাই থেকে জৈন্তাপুর রুটে বাস ধর্মঘটের আহবান করেন সিলেট পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

১৩ই জুলাই থেকে সিলেট জেলা ব্যাপী পরিবহন ধর্মঘটের আহবান করলে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে বৈঠকে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে। অপরদিকে বৃহস্পতিবার ১৭ পরগনার বৈঠকে সিলেট তামাবিল জাফলং মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস বর্জন অব্যাহত রাখার ঘোষনা দেন জৈন্তিয়া ১৭ পরগণা শালিশ সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *