ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ডিএমপির ২৪ নির্দেশনা

সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে ২৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

পুলিশ সদস্যদের এগুলো বাস্তবায়নে কাজ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। যেকোনো প্রয়োজনে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের ০১৭১১-০০০৯৯০ নম্বরে অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।

ডিএমপির নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- হাটে ট্রাক থেকে গরু নামানোর এবং বিক্রির সময় সংশ্লিষ্ট সড়ক-মহাসড়কের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট যেন ব্যহত না হয়।  নৌপথে ট্রলারের মাধ্যমে রাজধানীতে আসা কুরবানির পশু যেন সুশৃঙ্খলভাবে নির্ধারিত হাটে যেতে পারে সে বিষয়ে যথাযথ নজরদারি রাখা। গরুর হাটকেন্দ্রিক স্বাচ্ছন্দ্য যাতায়াতের জন্য পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা। যত্রতত্র যেন কুরবানির পশুর হাট না বসে এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সঠিক থাকে তা নিশ্চিত করা। পশুবাহী গাড়িগুলো অবশ্যই সিটি করপোরেশন কর্তৃক অনুমোদিত হাটের ভেতর লোড-আনলোড করতে হবে। গরুর হাটকেন্দ্রিক সুষ্ঠু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন, হাট ইজারাদার, পরিবহণ মালিক, শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা।

ডিএমপির নির্দেশনায় আরও আছে- টার্মিনাল ও পশুর হাটকেন্দ্রিক সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা। টার্মিনালকেন্দ্রিক যাত্রী ওঠানামা টার্মিনালের ভেতর থেকেই করতে হবে। যাত্রী পরিবহণ ও পশুবহনকারী গাড়ির চলাচল সুশৃঙ্খল করার জন্য ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ-বাহির সড়কে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবহণ চালনা করা।  ঢাকা মহানগরী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে নিবৃত থাকতে হবে। আন্তঃজেলা পরিবহণের যাত্রী বা গমনপ্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভেতরে অবস্থান করা।

পুলিশ নির্দেশনায় আরও বলেছে, সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে টিকিট বহন করবেন। কোনো যানবাহনেই ছাদের উপর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না। যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসের চালকরা এমন কোনো অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না যেন সড়কের শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটে ও জীবনহানির সম্ভাবনা থাকে। টার্মিনালভিত্তিক কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন করতে হবে। ঈদের আগের তিন দিন কোনো ভারি যানবাহন যেন ঢাকা মহানগরীতে না ঢুকে সে বিষয়ে দৃষ্টি আরোপ করা। ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন এবং বিমানবন্দরকেন্দ্রিক রুটগুলো চলাচল উপোযোগী রাখতে সচেষ্ট থাকা। জনগণ যেন যাত্রাপথে অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ না করে সে বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা।

নির্দেশনায় আরও আছে- যাত্রাপথে জনগণের ব্যক্তিগত মালামালে ও অর্থ যেন সাবধানে রাখে সে বিষয়ে তাদের সচেতন করা। মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহীদের ঢাকার বাইরে দূরপাল্লার যাতায়াতের সময় অবশ্যই হেলমেট পরিধান করতে হবে। ঈদের আগে-পরে ফাঁকা রাস্তায় ওভারস্পিড প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। ঈদকে ঘিরে বিনোদনকেন্দ্রিক রুটগুলোর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সঠিক রাখতে সচেষ্ট থাকা। আনফিট অথবা রুট পারমিটবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে। প্রধান প্রধান ঈদ জামাতকেন্দ্রিক ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সচল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *