শুক্রবার, ২ জুন,২০২৩ রাতে গনমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় পদত্যাগের বিষয়ে আজহারুল ইসলাম মুমিন বলেন দীর্ঘদিন থেকে সিলেট মহানগর তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করে আসছি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সর্বপ্রথম তাঁতী লীগের সদস্য পদ লাভ করেছিলাম।
তিনি বলেন, “দীর্ঘ কাল রাজনীতি করার পর যোগ্যতা থাকার কারনে আমাকে তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিলো। কিন্তু বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আমার বাবা নজরুল ইসলাম বাবুল, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দের সিদ্ধান্তে জাতীয় পার্টির পক্ষে লাঙ্গল মার্কায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পর ঢাকা থেকে সিলেট এয়ারপোর্টে এসে আমার বাবা যখন নামেন তখন আমার বাবার শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেলে আমি দূর থেকে তা দেখতে পাই, একজন পুত্র হিসেবে বাবাকে ভালোবাসার কারণে আমি দলের কোন কিছু তোয়াক্কা না-করে আমার বাবাকে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন করতে গাড়িতে করে নিয়ে আসি। আমি আমার বাবাকে বাঁচানোর জন্য বাবার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম এটাকে পুজি করে একটি মহল আমি আমার বাবার হয়ে লাঙ্গল মার্কার প্রচারণায় কাজ করছি বলে গুজব রটায়, যা আদৌ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, যার কোন প্রমাণ নেই। গত কয়েকদিন পূর্বে আমি আমার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করেছিলাম আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর’র নামের সিল দেওয়া খামের পাশে টাকা! এটা দেখে আমি খুব অবাক ও হতবিহ্বল হয়ে পড়ি, যে আমার দলের প্রার্থীর নাম লিখে গুজব রটানো হচ্ছে, আমি শুধু “এটার মানে কি” বলে আমার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলাম এটা কে রাজনৈতিকভাবে পুঁজি করে আমার লেখার মূল অর্থটাকে বিকৃত করে আমার লেখার ভাষাটাকে অন্য খাতে প্রবাহিত করে এটাকে নেগেটিভ ইস্যু বানিয়ে সবার সামনে উপস্থাপন করে আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করার ষড়যন্ত্র চলতেছে।”
তিনি বলেন, “আমার বর্তমান অবস্থার কথা চিন্তা না করে দল থেকে কিছু লোভী ও স্বার্থপর টাকার অর্থ বা দাবিকৃত টাকা না দেওয়ার কারণে আমাকে শোকজ করানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে আমাকে বহিষ্কার করা হবে এবং টাকা না দিলে সেন্ট্রালে কিছু টাকা দিয়ে দিলে আমার বহিষ্কারাদেশ আটকানো যাবে বলে আমার কাছে টাকা দাবি করতেছে আমারই প্রাণপ্রিয় সংঘটন তাঁতী লীগের কিছু উর্ধতন নেতা কর্মীরা। তাই আমি ব্যক্তির চাইতে দল বড় এবং দলের চেয়ে দেশ বড়, এই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জাতির জনকের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সজ্ঞানে তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। টাকা দিয়ে রাজনীতি করতে হবে এর চাইতে পদত্যাগ করাটাই ভালো।মনে প্রাণের নিঃশ্বাস এবং আমার বিশ্বাসে মিশে আছে জয় বাংলার স্লোগান। যা আজীবন আমার মধ্যে থাকবে। সবাই ভালো থাকবেন আমি স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে পদত্যাগ করলাম। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জননেত্রী শেখ হাসিনা,বাংলাদেশ চিরজীবী হউক।”
প্রেস বিজ্ঞপ্তি