সিলেট নিউজ টাইমস্ ডেস্ক: তুরস্কের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। দেশটির গত ১০০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ফলপ্রসূ নির্বাচনগুলোর মধ্যে এটা একটি বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনে ৪১.৮৩ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে সেখান এখনো পর্যন্ত এগিয়ে আছেন এরদোগান। তিনি পেয়েছেন ৫২.৬ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কামাল কিলিকদারোগ্লু পেয়েছেন ৪১.৬ শতাংশ ভোট। বাকি ভোট পেয়েছে অন্য প্রতিদ্বন্দীরা।
নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রগুলো স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় বন্ধ হয়ে গেছে। এবার প্রতিটি ভোটার দুটি ব্যালটে ভোট দিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে একটি প্রেসিডেন্ট ও অন্যটি এমপি নির্বাচনের জন্য। দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ও এমপির কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর।
এ নির্বাচনে বিপুল ভোটার সমাগম হয়েছে। বিশেষ করে তুরস্কের বৃহত্তম শহরগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এ বিষয়ে ইস্তাম্বুল বার অ্যাসোসিয়েশন আদালত বলেছে, যারা ৫টার আগে ভোট কেন্দ্রে গেছেন, তারা ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু, যারা ৫টার পরের দিকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তাদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
তুরস্কের আইনে রাত ৯টা পর্যন্ত নির্বাচনের যেকোনো ফলাফলের প্রতিবেদন প্রকাশ নিষিদ্ধ। নিয়মানুযায়ী নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল পেতে তিন দিন সময় লাগবে। রোববার রাতে বলা যাবে যে কোনো প্রার্থী এগিয়ে আছেন এবং দ্বিতীয় দফায় কোনো ভোট হবে কিনা। খবর আলজাজিরার।
জনমত জরিপে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন কামাল কিলিকদারোগ্লু। তিনি একটি ছয় দলীয় জোটের প্রধান। তিনি সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। রোববার যদি কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না জিততে পারে, তবে ২৮ মে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে।
তুরস্কের এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমেই এটা বলা যাবে যে কে আট কোটি জনসংখ্যার তুরস্ককে নেতৃত্ব দেবে। বিষয়টা শুধু তুরস্কেই সীমাবদ্ধ নয়, ন্যাটো জোটেও এ নির্বাচনের প্রভাব পড়বে।