নাশকতা মামলায় সিলেট বিএনপি নেতা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর দিনার খান হাসুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি উক্ত মামলায় জামিন নিয়ে আমেরিকায় ছিলেন।
দেশে ফিরে স্বেচ্ছায় কোর্ট সেলেন্ডার হন। দিনার খান হাসুকে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
গত ১৮ই এপ্রিল জামিনে মুক্তি লাভ করেন সিলেট মহানগর বিএনপির ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক সহ-সভাপতি ও লালদিঘীরপার নতুন মার্কেটের বাল্ব ব্যবসায়ী মো. শামীম আহমদ চৌধুরী। উভয়ই নাশকতা মামলার পলাতক আসামী ছিলেন। কোতোয়ালী জিআর মামলা নং-৬০৯/১৮, তারিখ ২৩/১২/২০১৮ইং।
উক্ত মামলার আসামীগন কাউন্সিলর দিনার খান হাসু, মো. শামীম আহমদ চৌধুরী, রাশেদ আহমদ, বুরহান আহমদ রাহেল, মোস্তফা কামাল পাশা, নাজিম উদ্দিন পান্না, সাইফুল ইসলাম, হাসান, আবুল কাহের, মহিম উদ্দিন গত ১৪ জানুয়ারী ২০১৯ সালে হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন গ্রহন করে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন মঞ্জুর করা হয়। পরবর্তীতে হাজিরা না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। গত ১৬ই মার্চ আসামী মো. শামীম আহমদ চৌধুরী বাসা থেকে লামাবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই আশরাফ ১৫ মার্চ মাগরেবের সময় গ্রেফতার করেন। ১৬ মার্চ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। একমাস একদিন কারাভোগের পর গত ১৮ এপ্রিল সিলেট বারের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট কাজী কামরুল হাসান শামীম আহমদ চৌধুরীকে জামিনে মুক্তি লাভ করান।
গতকাল সোমবার (৮ মে) সকাল ১১ টার দিকে সাবেক কাউন্সিলর দিনার খান হাসুকে সিলেট মহানগর দায়রা জজ এ কিউ এম নাসির উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হলে জামিনের আবেদন করলে আবেদন নামঞ্জুর করে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাবেক কাউন্সিলর ও সিলেট বিএনপি নেতা দিনার খান হাসুকে কারাগারে প্রেরণ ও শামীমের উপর ৪টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা, নাশকতা, বিস্ফোরক, শেখ মুজিবের ফেষ্টুন ভাংচুর ও মারামারি মিথ্যা মামলা প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সিলেট জেলা মহিলা দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোছা. রাহেলা আক্তার চৌধুরী। মঙ্গলবার একবার্তায় তিনি অবিলম্বে সাবেক কাউন্সিলর দিনার খান হাসুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি