আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আগামী ১৪ মে তুরস্কে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। তবে সোমবার (১ মে) থেকেই এই নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। এদিন লেবাননে বসবাসরত তুর্কি নাগরিকরা তাদের ভোট দেওয়া শুরু করেছেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, তুরস্কের লেবানন প্রবাসীরা ১ মে থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। তুরস্কে মূল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ মে রোববার।
খবরে বলা হয়েছে, লেবাননে বসবাসরত তুর্কি নাগরিকদের মধ্যে ভোট দেওয়ার যোগ্য রয়েছেন প্রায় ৮ হাজার ৩৩৬ জন। তারা ১ থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। দেশটিতে স্থাপিত পোলিং স্টেশনে স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।
লেবাননে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আলী বারিস উলুসয় আনাদুলুকে বলেছেন, ‘আমাদের নাগরিকরা যাতে নিরাপদে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য আমরা আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’
তুরস্কে আগামী ১৪ মে রোববার অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির ভোটাররা চারজন প্রার্থীর মধ্যে একজনকে পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বেছে নেবেন। প্রেসিডেন্ট পদে চার প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন- বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, মুহাররেম ইনসে, কামাল কিলিকদারোগ্লু এবং সিনান ওগান৷
অপরদিকে তুরস্কের পার্লামেন্টের ৬০০টি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং ১৫১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এবারের নির্বাচনে তুরস্কে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ কোটি ১১ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৪ জন। এর মধ্যে বিদেশে অবস্থান করছেন প্রায় ৩০ লাখ ৪১ হাজার ভোটার। এর মধ্যে নতুন ভোটার প্রায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮০০।
এ ছাড়া দেশটিতে এ বছর সব মিলিয়ে নতুন ভোটারের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৪ হাজার ৬৭২ জন। এই নতুন ভোটাররাই নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করা হচ্ছে। অপরদিকে মোট ভোটারের মধ্যে ৩ কোটির বেশি নারী।
এর আগে তুর্কি নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রবাসীরা ৭৪টি দেশের ১৭৭টি বিদেশি মিশনে তাদের ভোট দিতে পারবেন। এর মধ্যে জার্মানিতে ২৬টি ভোটকেন্দ্র থাকবে, যেখানে ৩০ লাখের বেশি তুর্কি প্রবাসী বাস করেন। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত তুরস্কের মিশনে ৯টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।