প্রসবের পরই সন্তান হত্যা, যা বলছেন অভিযুক্ত সেই তরুণী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::

সন্তান হত্যার অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এক তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত শনিবার কলকাতার কসবা থানার পিকনিক গার্ডেন এলাকায় ওই তরুণী বাথরুমে সন্তানের জন্ম দেন। এরপর বাথরুমের জানালার কাচ ভেঙে রাস্তায় নিজের সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি রোববার মারা গেছে।

অভিযুক্ত ওই তরুণীর দাবি, তিনি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতেন না। তার স্বামীও এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না।

তিনি এও দাবি করেন, গত কয়েক মাসে তার ঋতুচক্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি বুঝতেই পারেননি কীভাবে তিনি মা হয়েছেন। পিরিয়ড মিস না করলে মা কখন হলাম?।

আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার কলকাতার কসবা থানার পিকনিক গার্ডেন এলাকায় এক তরুণী বাথরুমে সন্তানের জন্ম দেন। এরপর বাথরুমের জানালার কাচ ভেঙে রাস্তায় নিজের সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। পেটে ব্যথা নিয়ে বাথরুমে গেলে সেখানেই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। সদ্যোজাতর কান্না শুনে হতবাক হয়ে যান তিনি। এরপর বাথরুমের জানালার কাচ ভেঙে সন্তানকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলেন তিনি।

অভিযুক্ত ওই তরুণীর বয়স ৩২ বছর। এ বিষয়ে পুলিশ ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তরুণী জানিয়েছেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতেন না। তার স্বামীও এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপর তরুণীর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। বাথরুমে দেখা যায়, তরুণী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় সদ্যোজাতকে হত্যার দায়ে মামলা রুজু হয়েছে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্ত তরুণীর দাবি, গত কয়েক মাসে তার ঋতুচক্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি বুঝতেই পারেননি কীভাবে তিনি মা হয়েছেন।

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন অভিযুক্ত তরুণী। তিনি গত কয়েক মাস ধরে ওষুধ খাচ্ছিলেন। এছাড়া কয়েক মাস ধরে স্বামীর সঙ্গে কথাও বলতেন না তিনি।

প্রায় তিন বছর একসঙ্গে থাকার পর গত নভেম্বরেই নিজের প্রেমিককে বিয়ে করেন ওই তরুণী। এরপর থেকে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *