পবিত্র কুরআনের ৬ পারায় যা বলা হয়েছে

ধর্মকর্ম ডেস্ক::

★ কল্যাণকর কাজে অপরকে সাহায্য করা আর মন্দ কাজে সঙ্গ না দেওয়া  

সূরা মায়েদার ২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, সৎ কাজ করতে ও সংযমী হতে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর। তবে পাপ ও শক্রতার ব্যাপারে তোমরা একে অপরকে সাহায্য করনা। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা।

★ শত্রুর সাথেও ন্যায়বিচার করা

মহান আল্লাহ এই সুরার ৮ নম্বর আয়াতে বলেন, হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে বিধানসমূহ পূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠাকারী ও ন্যায়ের সাথে সাক্ষ্যদানকারী হয়ে যাও, কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের শক্রতা যেন তোমাদেরকে এর প্রতি প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ন্যায়বিচার করবেনা। তোমরা ন্যায়বিচার কর, এটা আল্লাহ-ভীতির অধিকতর নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে পূর্ণ ওয়াকিফহাল।

★ ঈমান ও নেক কাজের পুরস্কার জান্নাত

১২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, যদি তোমরা সালাত সুপ্রতিষ্ঠিত কর ও জাকাত দিতে থাক এবং আমার রাসুলদের ওপর ঈমান আনো ও তাদেরকে সাহায্য কর এবং আল্লাহকে উত্তমরূপে কর্জ দিতে থাক; তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের পাপগুলো তোমাদের থেকে মুছে দেব এবং অবশ্যই তোমাদেরকে এমন উদ্যানসমূহে প্রবেশ করব যার তলদেশে নহরসমূহ বইতে থাকবে, অতঃপর যে ব্যক্তি এরপরও কুফরী করবে, নিশ্চয়ই সে সোজা পথ থেকে দূরে সরে পড়ল।

★ কুরআন মানুষকে সঠিক পথ দেখায়

সুরা মায়েদার ১৫,১৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে আহলে কিতাব! তোমাদের কাছে আমার রাসুল এসেছে, তোমরা কিতাবের যেসব বিষয় গোপন কর তন্মধ্য হতে বহু বিষয় তিনি তোমাদের সামনে পরিস্কারভাবে ব্যক্ত করে, আর বহু বিষয় (প্রকাশ করা) বর্জন করে, তোমাদের কাছে আল্লাহর নিকট থেকে এক আলোকময় বস্তু এসেছে এবং তা একটি স্পষ্ট কিতাব (কুরআন)।
তা দ্বারা আল্লাহ এরূপ লোকদেরকে শান্তির পন্থাসমূহ বলে দেন যারা তার সন্তুষ্টি অম্বেষণ করে এবং তিনি তাদেরকে নিজ তাওফীকে (ও করুণায়) কুফরির অন্ধকার থেকে বের করে (ঈমানের) আলোর দিকে আনয়ন করেন এবং তাদেরকে সরল (সঠিক) পথে প্রতিষ্ঠিত রাখেন।

★সমগ্র দুনিয়ার রাজত্ব একমাত্র মহান আল্লাহর জন্য 

১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, আল্লাহরই কর্তৃত্ব নির্দিষ্ট রয়েছে আকাশসমূহে ও জমিনে এবং এতদুভয়ের মধ্যস্থিত যাবতীয় কিছুর উপর; তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই সৃষ্টি করেন, আর আল্লাহ সকল বস্তুর উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান।

★ যে একজন মানুষকে বাঁচাল সে যেন সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে বাঁচাল

এই সুরার ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে রক্ষা করল, তাহলে সে যেন সমস্ত মানুষকে রক্ষা করল।

★ নেক আমল বান্দাকে আল্লাহর নৈকট্যশীল করে দেয়

আল্লাহ ৩৫ নম্বর আয়াতে বলেন, হে মু’মিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং তার সান্নিধ্য অন্বেষণ কর ও আল্লাহর পথে জিহাদ করতে থাক। আশা করা যায় যে, তোমরা সফলকাম হবে।

★ সবসময় সুবিচার করা উচিত

এই সুরার ৪২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, আর যদি তুমি বিচার-মীমাংসা কর তাহলে তাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত বিচার করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়বিচারকদেরকে ভালোবাসেন।

★আল্লাহর ভয়ে জীবন কাটালে রিজিকে বরকত হয়

সুরা মায়েদার ৬৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, আর যদি তারা তাওরাত ও ইঞ্জীলের এবং যে কিতাব (অর্থাৎ কুরআন) তাদের রবের পক্ষ হতে তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, ওর থেকে যথারীতি ‘আমলকারী হত তাহলে তারা উপর (অর্থাৎ আকাশ) হতে এবং নিম্ন (অর্থাৎ জমিন) হতে প্রাচুর্যের সাথে আহার পেত; তাদের একদলতো সরল পথের অনুগামী; আর তাদের অধিকাংশই এরূপ যে, তাদের কার্যকলাপ অতি জঘন্য।

★একে অপরকে মন্দ বিষয় হতে বিরত না করা অনেক বড় গুনাহের কাজ

একই সুরার ৭৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তারা যে অন্যায় কাজ করেছিল তা হতে একে অপরকে নিষেধ করতনা; বাস্তবিকই তাদের কাজ ছিল অত্যন্ত গর্হিত।

দ্বীনিয়াত বাংলাদেশের গবেষণা বিভাগ থেকে অনূদিত

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *