চীনা শাসনে তিব্বতে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের অধীনে তিব্বতে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ।

সংস্থাটির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক কমিটি তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, চীনা শাসনের অধীনে তিব্বতিদের মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে।

তিব্বত প্রেসের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বিশ্বব্যাপী মানব স্বাধীনতার বিষয় নিয়ে কাজ করা গ্লোবাল ওয়াচডগ ফ্রিডম হাউস গত ৯ মার্চ ‘ফ্রিডম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২৩ রিপোর্ট’ শিরোনামে টানা তৃতীয়বারের মতো তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে তিব্বতকে দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়ার মতো ‘বিশ্বের সবচেয়ে কম মুক্ত দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালেও একই রকম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফ্রিডম হাউস।

এসব রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিব্বতে সন্দেহজনক জাতিগত বৈষম্য তৈরি হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থাটি তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে রাজনৈতিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতার গ্রেডিং করেছে। সংগঠনটি সম্ভাব্য অধিকারের জন্য সম্ভাব্য ৪০ এর মধ্যে মাইনাস ২ নম্বর এবং তিব্বতের নাগরিক স্বাধীনতার জন্য ৬০ এর মধ্যে ৩ নম্বর দিয়েছে। অর্থাৎ গ্রেডিং অনুযায়ী, এই অঞ্চলটি মোট ১০০ নম্বরের পেয়েছে ১।

ফ্রিডম হাউস তাদের প্রতিবেদনে দেখিয়েছে যে, তিব্বতে বসবাসকারী চীনা ও তিব্বতি উভয়েরই মৌলিক অধিকারের অভাব রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, চীনা কর্তৃপক্ষ তিব্বতের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় প্রকাশসহ তিব্বতিদের মধ্যে মতবিরোধের যে কোনো লক্ষণকে দমনে বিশেষভাবে কঠোর নীতি অবলম্বন করে থাকে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *