সুনামগঞ্জ ধর্মপাশায় ৩০ লাখ টাকার ভারতীয় শাড়ী জব্দ করে পুলিশ

নিউজ ডেস্ক:: মুরাদ চৌধুরী নেত্রকোনা জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি, দীর্ঘ দিন ধরে বছর তিনি ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধর্মপাশা গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করেন। কয়েক বছরের ব্যবধানে অনেক টাকার মালিকও হয়েছেন তিনি। ধর্মপাশায় জায়গা জমিও কিনেছেন। কিন্তু বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে খটকা লাগলেও এতোদিন তিনি ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। সোমবার ভোরে তাঁর অবৈধ চোরাচালান ব্যবসার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। তাঁর সাড়ে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ির একটি চালান ধর্মপাশা থেকে গাজীপুরে পাচারকালে জব্দ করে পুলিশ। এ সময় দুটি পিকআপ ভ্যানসহ চারজনকে আটক করা হয়।

আকটকৃতরা মুরাদের নাম পুলিশের কাছে প্রকাশ করে। মুরাদ নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের কানুহারী গ্রামের আ. রশিদের ছেলে।

মুরাদ দীর্ঘ বছর আগে ধর্মপাশা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত কুতুব উদ্দিনের মেয়েকে বিয়ে করেন। তারপর থেকে তিনি শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস শুরু করেন। শ্যালক শাহ আলমকে নিয়ে ভারতীয় পণ্যের চোরাচালান ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। এ জন্য তাঁর শ্বশুর বাড়িতে একটি গুদাম ঘরও নির্মাণ করা হয়। সোমবার ভোরে মুরাদের গুদাম থেকে দুটি পিকআপ ভ্যানে ৮২টি বস্তায় করে ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের ১ হাজার ৬৯১টি শাড়ির চালান গাজীপুরে পাঠানো হচ্ছিল। যা ভ্যান চালকেরা পুলিশের কাছে স্বীকার করে। ভ্যান দুটি ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে ধর্মপাশা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ত্রিমূখী মোড়ে আসলে পুলিশ তা জব্দ করে।

এ সময় ভ্যান চালক ও তাদের সহযোগীদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামের সামছুল হকের ছেলে জাহিদ (২৩), সুরত আলীর ছেলে সাব্বির মিয়া (১৬), আজহার মিয়ার ছেলে রায়হান (১৭) ও হামিদপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে নাজমুল (২২)। স্থানীয়রা জানায়, আর কংস নদের পাড় ঘেষে ধর্মপাশা অংশে মুরাদের শ্বশুর বাড়ি। ফলে নদী পথে সুনামগঞ্জ বা অন্য কোনো জায়গা থেকে সুরমা নদী দিয়ে ভারতীয় পণ্য তার গুদামে নিয়ে আসতো এবং তা গভীর রাতে অন্যত্র পাচার করতো।

গত কয়েক বছর ধরে মুরাদ এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আটক চারজনসহ মুরাদ চৌধুরী ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধর্মপাশা থানায় মামলা হয়েছে।’

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *