ক্যাফে কুইন তিন তলা থেকে কীভাবে ৭ তলা, জানেন না রাজউক পরিচালক

নিউজ ডেস্ক:: রাজধানীর পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাফে কুইন ভবন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

ভবনটি কবে তৈরি, সরকারের নিয়মকানুন মেনে বানানো হয়েছে কি না– এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) একজন পরিচালক।

সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, শবে বরাতের ছুটি শেষে অফিস খুললে সব দেখে বলতে পারবেন।

স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছ থেকে কিছু তথ্য জানা গেলেও তিনি নিজের নাম প্রকাশ করতে চান না। তার ভাষ্য, ভবনটি তৈরি হয় চার দশক আগে। শুরুতে ছিল তিন তলা। পরে তা আরও চার তলা বাড়ানো হয়।

যার হাত ধরে ভবনটি তৈরি হয়, তিনি মারা গেছেন এক দশক আগে। এখন তার ছেলেদের মালিকানায় রয়েছে ভবনটি।

ভবনের নিচের দুটি ফ্লোরে ছিল মূলত স্যানিটারি সামগ্রীর দোকান ও গুদাম, তৃতীয় তলায় ছিল ‘ক্যাফে কুইন’ নামে  রেস্তোরাঁ, যেটি বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ। বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই খাবারের দোকানের কারণেই সাত তলা দালানটি ‘ক্যাফে কুইন ভবন’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

এর ওপরের কয়েকটি ফ্লোর ছিল আবাসিক। সেখানে কিছু ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া হয়, কিছু ফ্ল্যাটে মালিকদের পরিবার থাকত। তবে দুর্ঘটনার পর তাদের পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার বিকালে গুলিস্তানের এই ভবনটি বিস্ফোরণে ধসে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। তাদের মধ্যে শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি ১০ জনের কেউ শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

বুধবার ভবনটি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজউকের পরিচালক হামিদুর রহমান। সাততলা ভবনটি আইন কানুন মেনে গড়ে তোলা হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, আজ অফিস বন্ধ। তাই ভবনটি বৈধ না অবৈধ, বা কখন অনুমতি নিয়েছে, তা জানা সম্ভব নয়।

ভবনটি বৈধ না অবৈধ- এমন প্রশ্ন শুনে তিনি বলেন, কাগজপত্র দেখে বলা যাবে।

সাততলা এই ভবনটির দুই পাশে আছে আরও দুটি বহুতল ভবন। দক্ষিণপাশের সাততলা ভবনটি ঘেঁষেই গড়ে তোলা হয়েছে ক্যাফে কুইন ভবন। উত্তরপাশের ভবনটির সঙ্গে ফাঁকা রাখা হয়েছে দুই ফুট।

ভবনটি কবে গড়ে উঠেছে, সে বিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া গেছে কিছু তথ্য। কেউ বলছেন এটি চার দশক আগের।

তিনি জানান, ভবনটির মালিক ছিলেন রেজাউর রহমান। মারা গেছেন এক দশক হয়ে গেল। তার তিন ছেলে। এদের একজন থাকেন দেশের বাইরে। দুই জন ওই ভবনেই থাকেন।

তবে ভবন মালিকদের কাউকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তাদের নামও কেউ বলতে পারছিলেন না।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *