বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিট ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। মহামারী ও অতিমারী প্রতিরোধে সচেতনতা অবলম্বন খুবই জরুরি। আজকে যারা এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাদেরকে লব্ধ জ্ঞানের প্রয়োগ করতে হবে। সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্টীকে সচেতন করে তুলতে হবে। যে কোন দূর্যোগ আসলে এরাই বেশী বিপদে পড়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা এদের পিছনে বেশী পরিশ্রম করতে হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে সমাজের সকলকে সমান সুযোগ করে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো তখন আমাদের কাংখিত সমাজ বিনির্মান সম্ভব।
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের উদ্যোগে ডিজিইকো’র অর্থায়নে আইএফআরসি, জার্মান রেডক্রস, ডেনিস রেডক্রসের সহযোগিতায় পাইলট প্রোগ্রাম্যাটিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের অধীনে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে ৩ দিন ব্যাপী মহামারী ও অতিমারী প্রতিরোধ ও সাড়া প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী এবং সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে প্রশিক্ষন কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিলের সভাপতিত্বে ও পিপিপি সিলেট ইউনিটের ফিল্ড অফিসার মোঃ আব্দুর রাকিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম, রেডক্রিসেন্ট সিলেট ইউনিটের নির্বাহী সদস্য ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল, সোয়েব আহমদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত ছিলেন ইপিপিআর পিপিপি প্রজেক্ট অফিসার রোকসানা করিম, কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রামের ফিল্ড অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দিন, প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে নিলুফার ইয়াসমিন শাম্মী, তারাপদ কুরি প্রমুখ। এই প্রশিক্ষণের আওতায় ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শেষে তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।