একই ভবনের ১৫ পরিবার নিহত, বেঁচে ফিরেছেন মাত্র ৩ জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: লাশের সারির স্তুপ জমে গেছে তুরস্কে। প্রিয় মানুষ আর আত্মীয় স্বজন হারিয়ে বেদনায় কাতরাচ্ছেন অসংখ্য তুর্কি আর সিরীয় নাগরিক।

উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। এর মধ্যেই এলো আরও এক ভয়াবহ খবর। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, তুরস্কের একটি ভবনের ১৫টি পরিবারের ৩ জন ব্যতীত সবাই মারা গেছে।

এমন একটি বহুতল ভবনের নাম ‘অরকান’। ভূমিকম্পে ধসে গেছে ভবনটি। যেখানে ১৫টি পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। ভয়াবহ ভূমিকম্প এসব পরিবার এবং বিল্ডিং ধ্বংস করে দিয়েছে।

ভূমিকম্পের পরের দিনগুলোতে ওইসব পরিবারের বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জন ‘অরকানের’ চারপাশে জড়ো হয়েছিল। এই আশায়, যদি কেউ বেঁচে ফেরে। এক দিনেরও বেশি সময় খনন করার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে একজনকে জীবিত টেনে বের করা হয়। কিন্তু তিনজনের বেশি উদ্ধার করা যায়নি। বাকিদের কোনো খোঁজ নেই। সবাই আশা নিয়ে অছে হয়তো তারা ফিরবে।

ভবনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন ১৯ বছরের তরুণী সাইয়েদা ওকান। ধসে পড়া ভবনটির সামনে দাঁড়িয়ে বন্ধু দামলা বলছিলেন, এটাই সাইয়েদার কক্ষ। তিনি এখন আশা করে আছেন, ফিরবেন তার প্রিয় বন্ধু। তাকেও পাওয়া যায়নি।

সেখানে জড়ো হওয়া অনেক মানুষ বলছিলেন, এখানে প্রতিবেশীরা প্রায়ই চা বা তুর্কি কফি খেতে একে অপরের বাড়িতে যেতেন। অরকান এবং রাস্তার অন্যান্য বিল্ডিংয়ের বাসিন্দাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও ছিল। তারা নিয়মিত আড্ডা দিতেন। খুব সুন্দর সময় কাটাতেন তারা।

এমরুল্লাহ নামে একজন জানান, তিনি স্থানীয় একটি মুদি দোকান চালাতেন। তাকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল যে এখানে প্রতিবেশীদের বন্ধন কেমন ছিল? সে হাত দুটো এক করে বলেন, এমন।

আরও একজন বলছিলেন, অরকান কয়েক দশক ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আমার বয়স ৫০ বছর।  আমার মনে আছে স্কুলে যাওয়া এবং যাওয়ার পথে এটির পাশ দিয়ে কত হেঁটেছি।

ভবনটির নিচে আটকে পড়া মানুষের বেঁচে ফেরার আশা একেবারেই ক্ষীণ। উদ্ধারকর্মীরা ওই স্থানে অপেক্ষারত পরিবারগুলোকে বলছে, আটকে পড়া মানুষের বেঁচে থাকার আশা করবেন না।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *