চিনির দাম কেন আরও বাড়ানো হলো, জানালেন টিপু মুনশি

নিউজ ডেস্ক:: চিনির দাম আরেক দফা বেড়েছে। রমজান না আসতেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনির দাম (খোলা) ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা করা হয়েছে। আর পরিশোধিত চিনির (প্যাকেটজাত) দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১১২ টাকা করা হয়েছে। আগে খোলা চিনির দাম ছিল ১০২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৮ টাকা। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

চিনির এই মূল্যবৃদ্ধি সঠিক সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার মতিঝিলে এমসিসিআইয়ে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূল্যবৃদ্ধি তখনই করা হয় যখন প্রয়োজন হয়। মূল্যায়ন করেই এটা করা হয়। যে দাম হওয়া উচিত বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ করেই এটা করা। সে হিসাব-নিকাশ করে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে।

‘এটা যদি এড্রেস না করা হয় তাহলে ফলাফল ভিন্ন হবে। বাজারে চিনি পাওয়াই যাবে না। এটা বিবেচনা করেই যেটা হওয়া উচিত সেটা করা হয়েছে। আবার যখন কমার প্রয়োজন তখন কমবে।’

সাংবাদিকরা মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, মিল থেকে চিনি বের করতে হলে ১৬-১৭ দিন লেগে যায়। আর এর জন্য প্রতিদিন ২-৩ হাজার টাকা করে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।

জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা আমরা শুনেছি। আমরা চেষ্টা করছি এটা যেন না হয়।

চিনিকলগুলো যখন উৎপাদন সীমিত করে ফেলছে তখন ব্যবসায়ীরা চিনির দাম ইচ্ছামতো বাড়াচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা (আপনাদের) ভুল ধারণা। দেশে যে পরিমাণ চিনি উৎপাদন হয় তা মোট প্রয়োজনের ১ শতাংশ। চিনির দামের ক্ষেত্রে এটা কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। দেশে উৎপাদিত চিনির পরিমাণ ৫০ হাজার টন। আমাদের চিনির চাহিদা পূরণ করতে হয় আমদানি করে।

টিপু মুনশি বলেন, গ্লোবাল মার্কেটে চিনির দাম বেড়েছে। যার জন্য সমস্যাটা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি যাতে ভ্যাটটা একটু কমিয়ে দেওয়া হয়, যাতে দামে প্রভাব পড়ে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *