সংরক্ষিত মহিলা আসন: জামানত দ্বিগুণ করে আইনের খসড়া অনুমোদন ইসির

নিউজ ডেস্ক:: জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনে জামানতের টাকা দ্বিগুণ করে এ সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ প্রস্তাবে জামানত ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আসন শূন্যের ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা শিথিল করে তা ৯০ দিন করা হয়।

রোববার নির্বাচন কমিশনের সভায় জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন। পরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সভার সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশনের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারজন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন নির্বাচন আইনের কয়েকটি অনুচ্ছেদ ও ধারায় সংশোধনীর প্রয়োজন ছিল। কমিশনার রাশেদা সুলতানার নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি আইনের সুপারিশগুলো তৈরি বরে ওই সংশোধনীর খসড়া কমিশন সভায় উপস্থাপন করেছে।  কমিশন সেটা অনুমোদন দিয়েছে। এই খসড়া সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে মন্ত্রিসভায় যাবে। এরপর সংসদে উত্থাপন করা হবে।

সংশোধনীগুলোর বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ২০০৪ সালের আইনে মহিলা সংরক্ষিত আসন ছিল ৪৫টি। পরবর্তীকালে ৫০টিতে উন্নীত করা হলেও আইনে সেটা সংশোধন করা হয়নি। এটি সংবিধানের তফশিলে সংশোধন ছিল। এটাকে আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ আইনে সংরক্ষিত আসন ৪৫টির স্থলে ৫০টি করার সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে মহিলা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের সময়সীমা রয়েছে ৪৫ দিন। এটাকে সাধারণ সংসদ সদস্যের নির্বাচনের মতো ৯০ দিন করা হয়েছে। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে জামানতের অর্থ বিদ্যমান আইনে ১০ হাজার টাকা রয়েছে। সেটাও বাড়িয়ে সাধারণ সংসদ সদস্যদের মতো ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

শূন্য হওয়া একটি সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের তফশিলের আগে আইনের সংশোধনী প্রয়োজন পড়ল কিনা- জানতে চাইলে সচিব বলেন, আসন্ন একটি সংরক্ষিত আসনে যে নির্বাচন হবে। সেক্ষেত্রে এই সংশোধনীর বাধ্যবাধকতার সমস্যা হবে না। কারণ আমাদের সংবিধানে ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের কথা বলা আছে।  ওই নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে এই সংশোধনী পাশ না হলে বিদ্যমান আইনেই নির্বাচন হবে।

বৈঠকে প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্প বা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান সচিব। নির্বাচন কমিশন সচিব রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে তিনি জানান।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *