হৃদয়ে মাহমুদ উস সামাদ স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবদদের নিয়ে যতো বেশি চর্চা হবে ততবেশি সমাজ উপকৃত হবে’

সিলেট ১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড,একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, ছিলেন আদর্শবান রাজনীতিবিদ ছিলেন, তিনি কোনো দিন কারো বিরুদ্ধ কথা বলেন নি। তার সাথে আমার অনেক কাজ হয়েছে।

তিনি সুষ্ঠু রাজনীতি ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তাকে নিয়ে আজকের প্রকাশনা গ্রন্থ তাঁর জীবন কর্মনিয়ে সবাই জানতে পারবে। তার মুত্যুতে আওয়ামী লীগের যে অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে তা পুরন হবার কিছু নয়।

সিলেটের মাটি ও মানুষের নেতা সিলেট ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস স্বরণে ‘হৃদয়ে মাহমুদ উস সামাদ স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে শনিবার ১৪ জানুয়ারি , বিকাল ৩টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘হৃদয়ে মাহমুদ উস সামাদ স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসার মধ্য দিয়ে একজন সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন।

অসাম্প্রদায়িক ও শুদ্ধ সমাজ সংস্কৃতি গড়তে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর কর্ম কীর্তি তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতেই সমাজের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। শুদ্ধ-সুস্থ সমাজ গঠনে তাঁর মতো প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবদদের নিয়ে যতো বেশি চর্চা হবে ততবেশি আলো ছড়াবে। সমাজ-দেশ উপকৃত হবে।

স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা কমিটি’ সভাপতি,আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী (জাস্টিস অফ পিস) আহবায়ক,এর সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক মিসবাহ জামাল এর সঞ্চালনায় উৎসবে সম্মানিত বিশেষ অথিতি হিসেবে আলোচক ছিলেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল,সিলেট জেলা  আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,সাবেক সংসদ সদস্য, শফিকুর রহমান চৌধুরী,সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, অ্যাডভোকেট  নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন অধ্যাপক জাকির হোসেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যানর মাঝে স্মৃতিচারন বক্তব্যে রাখেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক,অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ. আর সেলিম, ইউকে আওয়ামী লীগের শিল্প বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আ.স.ম মিসবাহ, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মফুর, দক্ষিন সুরমা উপজ্লো পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাহিদ, ঘিলাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লেইছ চৌধুরী, সাবেক এ্যাটর্নি জেনারেল এ. রকিব মন্টু, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন সেলিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম, বিট্রিশ বাংলাদেশ চেম্বারের পরিচালক ওয়ালি তছরুদ্দিন, সভাপতি সাইদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জিগলুল চৌধুরী, বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমির কর্ণধার জামিল চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী। অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল মালিক জাকা ও মরহুমের বড় ভাই সাহেদ উস সামাদ চৌধুরী। কোরআন তেলাওয়াত করেন মুশফিকুস সামাদ চৌধুরী।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর জনসম্পৃক্ততার উদাহরণ দিতে গিয়ে বক্তারা বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে অসহায় বসবাসরত মানুষের জিবীকা নির্বাহে তিনি ছিলেন সক্রিয়। তিনি ভোগের জন্য নয়, ত্যাগের জন্যই তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন। দেশ ও মানুষের জন্য সারা জীবন ত্যাগ করে গেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি সততা বজায় রেখে মানুষের সেবা করেছিলেন।

বক্তারা বলেন, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ছিলেন, সত্যিকারের এক জনবান্ধব নেতা। তার মৃত্যুতে সিলেটবাসী এমন এক নেতাকে হারিয়েছে যাকে এলাকাবাসী সুখে দুঃখে সবসময় কাছে পেয়েছে। তিনি সমাজের অন্যায়, অনিয়ম, মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার। তাঁর বক্তব্যে খুঁজে পাওয়া যেত বাংলাদেশের শিকড়ের সন্ধান। তিনি বিশ্বাস করতেন, যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশের জন্ম, সেই জায়গা থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসা যাবে না।’ স্মারকগ্রন্থের সংকলকদের অভিবাদন জানিয়ে অতিথিবৃন্দ বলেন, তাকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে অবদান রাখবে এই বই। এর মধ্য দিয়ে তিনি আরও বড় ও প্রবল হবেন। রাজনীতি ও কর্মে তিনি যা রেখে গেছেন, সেগুলো তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।’

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *