বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মিছিল সমাবেশ

বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ৫ শতাংশ বাড়ানোয় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এন.ডি.এফ) সিলেট জেলা শাখার মিছিল সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
গতকাল বিকেল ৪ টায় মিছিলটি নগরীর গুরুত্বর্পূণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুরমা পয়েন্টে এসে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট এর অন্যতম নেতা খোকন আহমেদের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী  পটুর পরিচালনায় সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন; জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া, জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি উসমান গনি, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমিন রাজু, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার অন্যতম নেতা ইমান আলী প্রমুখ;

সমাবেশে বক্তারা বলেন; গত ১২ জানুয়ারী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী  নসরুল হামিদ গড়ে ৫ শতাংশ হারে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন। নতুন এ দর জানুয়ারী থেকে কার্যকর করার ঘোষনা ও দেওয়া হয়েছে সরকারী প্রজ্ঞাপনে। এর ফলে খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দাঁড়াবে ৭ টাকা ৪৮ পয়সা।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি গত ৮ জানুয়ারী  গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়াতে গণশুনাণি করলে ক্যাবসহ সাধারণ মানুষ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিরোধীতা করেছিল। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ও দাম না বাড়িয়ে বিদ্যুখাতের অপচয় কমানোর পরার্মশ এসেছিল। অথচ সরকার গণশুনানির মতামত না নিয়েই র্নিবাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেয়। এতদিন গণশুনানির পর  বিইআরসি বিদুতের দাম বাড়িয়ে আসলে ও সরকার স্বৈরাচারী পন্থায় এবার নিজেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। শুধু তাই নয় এজন্য আইন সংশোধণ করে অধ্যাদেশও জাড়ি করা হয়। পাইকারীতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষনার এক মাসের মধ্যে খুচরায় গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ারোর ঘোষনায় জনজীবনে নাভিশ্বাস অবস্থা সৃষ্টির আশংকা থাকছে। জিনিসপত্রের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনমান ক্রমাগতভাবে কমছে। আর মধ্যে বিদ্যুতের নতুন মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনের খরচ আরো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করবে। এতে গরিব মেহেনতী মানুষের অভাব-অনটন আরো বৃদ্ধি পেয়ে অধাহারে-অনাহারে দিনযাপন করতে হবে। অথচ সরকার দলীয় লোকসহ দেশের আমলা-মুৎসুদ্দি পুুঁজিপতিরা বিদ্যুৎখাতসহ সমস্ত খাতে লাগামহীণ দুর্নীতি  ও লোটপাট করে রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধংস্বের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। এ দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা না নিয়ে দুর্নীতিবাজ ও লুটপাটকারীদের শাস্তির বদলে তাদের দায়মুক্তি দেয়ার জন্য বিভিন্ন আইন সংশোধন করা হচ্ছে। আর দেশের  অর্থনৈতিক সংকটের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে  সাধারণ  জনগণের কাঁধে। সমাবেশ থেকে বিদ্যুতের দাম কমানোসহ জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রয়ক্ষমতারমধ্যে আনার দাবি জানান এবং শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র জনতাকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার আহবান জানান।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *