কাব্যকথা বিজয় আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত

ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কবি সাহিত্যিকদের মেলবন্ধন তৈরির প্রত্যয়ে এগিয়ে চলা জাতীয় সাহিত্য সংগঠন, কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে। কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কবি ও সংস্কৃতিজন সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ বাদশা গাজীর উপস্থাপনায় ।কবি আরিফ মঈনুদ্দীনের আহবানে গতকাল ২৫ ডিসেম্বর রোববার বিকেলে ঢাকার সেগুনবাগিচায় বাশিকপ অডিটোরিয়ামে জাতীয় বিজয় দিবস উদযাপন ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে, অনুষ্ঠিত হয়েছে কাব্যকথা বিজয় আনন্দ উৎসব-২২।
অনুষ্ঠানে ছিল সাহিত্যের আলোচনা, স্বরচিত কবিতা, ছড়া, পুঁথিপাঠ ও জাতীয় বিজয় দিবস সম্মাননা প্রদান।

অনুষ্ঠানটি শুভ-উদ্বোধন করেন আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক কবি লায়ন এম এ রশিদ। প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য কবি ও কথাশিল্পী সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন এমপি। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা কবি আবুল বাসার সেরনিয়াবাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবি ও শিশুসাহিত্যিক সিরাজুল ফরিদ। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সংগঠক কবি মুস্তফা হাবীব। কবি ও সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহসভাপতি কবি ডা. আতিয়ার রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রচার সম্পাদক কবি রফিক মুহাম্মদ।
জাতীয় বিজয় দিবস সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন- কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য দিলারা আলম হাফিজ। কাব্যসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কবি মুস্তফা হাবীব। ছোটগল্পে বিশেষ অবদানের জন্য কবি মোহাম্মদ রিজাউর রহমান। সংগঠক হিসেবে কবি শাহীন ভূইয়া। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মো: দলিল উদ্দীন। বাল্যবিবাহ রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য কাজী খলিলুর রহমান। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা রাখায় কাজি আব্দুল মালিক। কাব্যসাহিতে অবদানের জন্য দৈনিক এশিয়া বাণীর উপদেষ্টা সম্পাদক

মানবিক চেতনার কবি মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখায় মোঃ ইসরাইল হোসেন। কাব্যসাহিত্যের জন্য চকিত প্রাচুর্য। অর্ধশতাধীক কবিকে উত্তরীয় পরিয়ে সংর্বধিত করা হয়। স্বরচিত ছড়া-কবিতা পাঠ করেন- কবি আব্দুস সালাম চৌধুরী, কবি শাহ আলম বাবলু, কবি শাহীন ভূইয়া, কবি আতিয়ার রহমান, মোঃ আমিনুল ইসলাম, কবি চকিত প্রাচুর্য, কবি কামরুল হাসান, কবি দেলোয়ার হোসেন রাতুল, কবি শামীমা শামরোজ, কবি শাহাজাদা সেলিম, কবি রফিক মোহাম্মদ, কবি গাজী মাজহারুল ইসলাম, কবি মোঃ রেজাউল ইসলাম, কবি মোঃ হুমাযূন কবির, কবি বিমল সাহা, কবি সরকার সুমন, কবি চকিত প্রাচুর্য, কবি মুহম্মদ ওবায়দুল্লাহ, কবি প্রিন্স এ ওয়াকী, কবি এলিজা রহমান, কবি এসএম শহীদুল্লাহ, কবি হারুনুর রশিদ, কবি সাইফ সাদী, ছড়াশিল্পী শাহীন ইসলাম, কবি শামিউল ইসলাম প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি শেখ আবদুল হক চাষী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি ও কথাশিল্পী মোফাজ্জ্বল হোসেন, সহসভাপতি কবি গাজী মাজহারুল ইসলাম, কথাশিল্পী মনির হোসেন শাহীন, সহসাধারণ সম্পাদক কথাশিল্পী খন্দকার আতিক, কবি আহমেদ মুনীর, সাবিহা গুলশান, উসি প্রচি মার্মা, কবি আসমানী গুলতেকিন, কবি আল মাহদী, কবি শামশাদ বানু, কবি বিমল সাহা, সাংবাদিক সাদিয়া খান, সালমা আক্তার লিজা, মুক্তিয়োদ্ধা প্রজন্ম লীগের পুঁথিশিল্পী খোকন হাওলাদার প্রমূখ। সবশেষে পুঁথিসম্রাট জালাল খান ইউসুফীর পুঁথিপাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিঃ

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *