নিউজ ডেস্ক:: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এবারের রেজুলেশনটি উত্থাপন করে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এসব তথ্য জানায়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটিতে এই প্রস্তাব উত্থাপন করে। ১০৯টি দেশ এ প্রস্তাবে সহ-পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, যা ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ।
বিবৃতিতে বলা হয়, রেজুশেলনটি বাংলাদেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং বাংলাদেশের গৃহীত মানবিক প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ন্যায় বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ, আইসিসি, আইআইএমএম ও অন্যান্য দায়বদ্ধতা নিরূপণকারী ব্যবস্থার সঙ্গে যেভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে তা প্রসংশিত হয়েছে এতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে এবারের রেজুলেশনে।
সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার সময় বাংলাদেশের শার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মো. মনোয়ার বলেন, প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি পাওয়ার দাবি রাখে। এই মানবিক সাড়াদান প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন প্রয়োজন।
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য নেতৃত্ব দেওয়ায় ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মো. মনোয়ার।
রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমারে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতসহ জাতিসংঘের সবগুলো মানবাধিকার ব্যবস্থাপনাকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে রেজুলেশনে।