বিদেশি কূটনীতিকদের মন্তব্য করার সাহস কেউ জুগিয়েছে: ইসি আনিছুর

নিউজ ডেস্ক:: নির্বাচনসহ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, তাদের আরও ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলা ঠিক হবে বলে মনে করি। বিদেশিরা কী কতটুকু বলতে পারেন, করতে পারেন- এটা তাদের বিবেচনায় রাখা উচিত। 

ইসি আনিছুর বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশের ভোট নিয়ে কূটনীতিকেরা মাথা ঘামায় কি না বা পরামর্শ দেয় কি না আমার জানা নেই। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের মন্তব্য করার সাহস নিশ্চয়ই কেউ জুগিয়েছে। না হলে সাহস পায় কোথায়? আমরা তো মনে করি, প্রত্যেকেরই বিচরণ ক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা আছে।

বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে তদন্ত প্রতিবেদনে অনিয়ম উঠে এসেছে। ওই উপনির্বাচনে নতুন করে তফশিল দেওয়া হবে।

এর আগে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় জাপানি কূটনীতিকের মন্তব্যের জের ধরে এ নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্য জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীরা। আনিছুর রহমান বলেন, প্রত্যেকটি দেশেরই স্বকীয়তা আছে। কতটুকু বলতে পারি, কতটুকু করতে পারি- এটা তাদের (কূটনীতিকরা) বিবেচনায় রাখা উচিত। তারা বিবেচনা করে দেখতে পারেন, কতটা তার মধ্যে ছিলেন বা আছেন। আমি মনে করি, জেনেভা কনভেনশনের মধ্যে কূটনীতিকদের থাকা ভালো। জেনেভা কনভেনশন হচ্ছে কূটনীতিকদের জন্য বাইবেল।

ভোটে বিদেশিদের দরকার হবে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে এই কমিশনার জানতে চান- ভোটের ক্ষেত্রে বিদেশিরা কী সরাসরি কিছু করতে পারে? আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কে কী বলতে পারেন, কতটুকু বলতে পারেন- তা জেনেভা কনভেনশনে বলা আছে। সেই অনুযায়ী তাদের চলাফেরা করার কথা। তারা যেটা বলছেন তা ব্যক্তিগত কথা নাকি তার দেশের কথা- সেটাও পরিষ্কার হওয়া উচিত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের তো ভালো ভোট করার মাথাব্যথা আছে। গত ৮ মাসে কী শুনেছেন- আমরা খারাপ ভোট করব। ভালো ভোট করার জন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে শেষদিন পর্যন্ত। আমরা একলা চাইলে তো পারব না। রাজনৈতিক দল, জনগণ, প্রশাসন ও আমরা মিলিয়ে করতে হবে। আমরা ভালো ভোট করতে চাই। এজন্য যাদের সহযোগিতার দরকার আছে- তাদের সহযোগিতা চাই। এখন বিদেশিরা সহযোগিতা করবে নাকি দেশিরা করবে তাদের বিষয়।

আমাদের প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলকে নিয়ে কাজ করতে হবে। ভোটের মাঠে তারাই থাকবে। তারা যদি মাঠে থাকে এক রকম হবে। মাঠ ছেড়ে দিলে অন্যরকম হবে। তাদের মাঠে থাকতে হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *