নিউজ ডেস্ক:: জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে আলোচিত গ্যাস প্রকল্পগুলো বিশ্বের জলবায়ু লক্ষ্যগুলোকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
গ্রিনহাউজ গ্যাস দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে না পারলে দেশগুলো সম্ভবত এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে তাদের অবশিষ্ট কার্বন বাজেট পুড়িয়ে শেষ করবে।
এ অবস্থায় পরিবেশবিজ্ঞানীরা দিয়েছেন আরও ভয়ংকর উদ্বেগজনক হুঁশিয়ারি। বিপর্যয়কর উষ্ণায়ন এড়াতে ‘আর মাত্র ৯ বছর বাঁচবে পৃথিবী’।
মিসরের শারম আল-শেখে ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ২৭ উপলক্ষ্যে বুধবার প্রকাশিত এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয় এ উদ্বেগের খবর।
কপ২৭ এ সশরীরে শুক্রবার অংশ নিয়ে ১১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ায় বিশ্বনেতাদের কাছে ক্ষমা চান তিনি। ওয়াশিংটন পোস্ট।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব তার উষ্ণায়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকতে কতটা নির্গমন করতে পারে-সেটাই হচ্ছে গ্লোবাল কার্বন বাজেট। প্রতিবেদনের বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন যে, প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি অপেক্ষাকৃত দুর্বল সম্প্রদায়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
সেই সঙ্গে গ্রহটিকে উত্তপ্ত করে নারকীয় ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে পারে পৃথিবীকে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট ঘোচাতে বিকল্প জ্বালানির উৎসের সন্ধানে ব্যস্ত মানুষ। এদিকে কপ২৭-এ দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ‘আমরা প্যারিস চুক্তিতে আবারও যোগ দিয়েছি। এরই মধ্যে আমরা শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলন আহ্বান করেছি এবং নিজেদের অবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি।’
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল উল্লেখ করে বিশ্বনেতাদের কাছে ক্ষমা চান তিনি।
পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিতে আবারও প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র আবারও প্রস্তুত বলে অঙ্গীকার করেন তিনি।
একই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন ৫২ শতাংশ পর্যন্ত কমানোসহ প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকল্পে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি দেন বাইডেন।
এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সহনশীলতা তৈরি করতে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দরিদ্র দেশগুলোর পক্ষে জলবায়ু ক্ষতিপূরণ তহবিল নিয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি।