ঢাবির ১০ একর জমি চায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়

নিউজ ডেস্ক::  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নামে পূর্বাচলে বরাদ্দ করা ৫২ একর জমি থেকে ১০ একর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জন্য চায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানোর সুপারিশ করেছে তারা।

সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর সাহিত্য সংকলন নজরুল রচনাবলি প্রমিত ইংরেজি ভাষা থেকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদের জন্য অভিজ্ঞ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়নের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণের জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমি চালুকরণ এবং ডিসেম্বর মাসকে কেন্দ্র করে জেলা পর্যায়ে সপ্তাহব্যাপী উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেনের (রিমি) সভাপতিত্বে বৈঠকে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ও কাজী কেরামত আলী অংশগ্রহণ করেন।

সূত্র জানিয়েছে, ঢাবি ওই জমি গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেছে বলে দাবি করে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে এমন সুপারিশ করা হয়।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা জমিটি গ্রহণে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তারা জমি গ্রহণের বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করেনি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, পূর্বাচলে সংরক্ষিত ৫২ একর ভূমি গ্রহণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপারগতা প্রকাশ করায় ওই ভূমি থেকে ১০ একর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নামে বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানোর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

পূর্বাচলে ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫১ দশমিক ৯৯ একর জমি প্রাথমিক বরাদ্দ দেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। অর্থ বরাদ্দের জটিলতায় ঢাবি এখনো রাজউক থেকে জমিটি বুঝে পায়নি। প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে ঢাবি।

ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, আমরা অপারগতা প্রকাশ করেছি বলে যেটা বলা হয়েছে- তা সত্য নয়। বরং জমি গ্রহণে আমরা সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছি। যেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার জন্য আছে। জমি কী জন্য আমাদের প্রয়োজন সেটা বলা হয়েছে। আমরা চাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ওই জমি কেনার ফান্ড সরকার থেকে দেওয়া হোক।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল হক বলেন, ‘পূর্বাচল নতুন শহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫২ একর জায়গা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দের টাকা দিয়েছে কি না- সম্পত্তি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানতে হবে। তবে তারা জায়গা বরাদ্দ নিতে কোনো অপারগতা প্রকাশ করেনি।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, আমরা ১০ একর জায়গা চেয়েছি। যেকোনো সুবিধাজনক জায়গায় এটি হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বলে কথা না। আগের কার্যপত্রে লেখা হয়েছিল। আমি বলেছি, এইভাবে সুন্দর করে লেখেন। আমাদের ১০ একর জায়গা দরকার, সেটা সুবিধাজনক ভালো জায়গা যেন দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা তারা যদি না নিতে পারে— তখন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কাকে দেবে। তখন আমরা আমাদের জন্য বলব।

এর আগে গত মাসে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছিলেন, পূর্বাচলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে ৫২ একর জমি থেকে সাংস্কৃতিক চর্চা বিকাশের জন্য ৩ থেকে ৫ একর জমি বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবরে সারসংক্ষেপ প্রেরণ করা যেতে পারে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *