মানে মানে সরে যান: সরকারকে মির্জা ফখরুল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক:: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ন্যক্কারজনক বাধা সত্ত্বেও সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকাতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না। আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে। রাজপথেই হবে ফয়সালা। তাই সরকারকে বলছি, মানে মানে সরে যান।’

বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার খুলনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছেন। কোথাও সহিংসতা করছেন না। বরং আওয়ামী লীগ সহিংসতা করছে। তারা সন্ত্রাসের দল, দেশকে নরকে পরিণত করেছে।’

নেতাকর্মীদের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সরকারকে হটাতে হলে একমাত্র বিকল্প আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলন। এখনো সময় আছে নিরাপদে চলে যান। নইলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের চিহ্ন থাকবে না। নির্বাচনে তারা ১০ আসনও পাবে না। ২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচনে ক্ষমতায় গিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালে নিশিরাতে ভোট হয়ে গেছে। দুই নির্বাচনেই কেউ ভোট দিতে পারেনি। ২০২৩ সালে নির্বাচন আসছে। এবারো ক্ষমতাসীনেরা একই কায়দায় নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার পাঁয়তারা করছে। এ জন্য নিজেদের মতো নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন পদত্যাগ না করলে পালানোর পথ খুঁজে পাবে না সরকার। এখনো সময় আছেন নিরাপদে চলে যান। নইলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে।’

এর আগে দুপুর পৌনে ২টায় সমাবেশের মঞ্চে আসেন প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার খুলনায় সমাবেশ করে বিএনপি। ‘জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে ৫ নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ও খালেদা জিয়ার মুক্তি’সহ কয়েক দফা দাবিতে এ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব আমীর এজাজ খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মশিউর রহমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মেহেদী আহমেদ রুমি, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, শহীদুল ইসলাম বাবুল, কামরুজ্জামান রতন, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, রকিবুল ইসলাম বকুল, ড. ওবায়দুল ইসলাম, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, কমলেন্দু দাস অপু, আমিরুল ইসলাম শিমুল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, সাইফুল ইসাম ফিরোজ, সাদেক খান, এসএম জিলানী, অধ্যাপিকা নারগিস বেগম, ফজলুর রহমান খোকন, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *