সোহানের দুই ছক্কার পর ১৩৮ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান দুর্দান্ত দুটি ছক্কা না হাঁকালে হয়তো এ স্কোরও জমা করতে পারত না টাইগাররা। সোহান অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ২৫ রান করে।

আজ বাজে ফিল্ডিংয়ের কয়েকটি নমুনা প্রদর্শন করেছে কিউই ফিল্ডাররা। লিটন দাসকে দুবার ও আফিককে একবার জীবন দিয়েছেন তারা।  কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি দুজনের কেউ আফিফ হোসেন।

১৭তম ওভারে কোনো বাউন্ডারি ছাড়া ২৬ বলে ২৪ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন আফিস।

আফিফের আউটের পরই সফল হলেন আরেক কিউই পেসার টিম সাউদি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের উইকেট শিকার করলেন তিনি। সাকিব থামলেন ১৬ বলে ১৬ রান করে।

১৮তম ওভারের শেষ বলে সাউদির স্লোয়ার অফ কাটার বলটি টাইমিং করতে পারেননি সাকিব। এক্সট্রা কাভারে সহজ ক্যাচ নেন দলটি ফিল্ডার মার্টিন গাপটিল।

সাকিবের আউটের পরই  পর পর দুটি ছক্কা হাঁকান কিপার-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান।  শোধির সেই ওভার থেকে আসে ১৮ রান।

পরের ওভারের প্রথম বলেই তাসকিনকে ফেরালেন বোল্ট। সাকিবের পর ব্যাট হাতে নামা তাসকিন ফিরলেন মাত্র ৩ রান করে।

এর আগে সপ্তদশ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন আফিফ। বলটি ফুল লেংথে করেন বোল্ট। স্লগ করার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করেন আফিফ। তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল ছোবল দেয় স্টাম্পে।

১৪ত ওভারে আউট হন ইয়াসির আলী রাব্বি। মাইকেল ব্রেসওয়েলকে আগের বলেই কাট শটে বাউন্ডারি মারেন ইয়াসির। পরের বলটি ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু মাঝ ব্যাটে খেলতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটার। মিডউইকেটে ধরা পড়েন মিল্নের হাতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১ বলে ৪২ রান করা ইয়াসির আজ ফিরলেন ৯ বলে ৭ রানে।

আজ  সাকিবের বদলে মাঠে নেমে কিছুই করতে পারেননি মোসাদ্দেক। টিকলেন মাত্র ৩ বলে। ২ রানে তাকে ফেরান ইশ শোধি।

এর আগে দারুণ ব্যাট করতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেটটি শিকার করেন শোধি। শান্তকে সাজঘরে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নিলেন ইশ সোধি।

কিউইদের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট টিম সাউদির।

ইশ শোধিকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারেন শান্ত। কিন্তু সীমানা পার করতে পারেননি। ধরা পড়েন লং অফে ফিল্ডার মার্ক চ্যাপম্যানের হাতে। ৪টি চারে ২৯ বলে ৩৩ রান করে আউট হলেন দলে ফেরা বাঁহাতি ব্যাটার।

আজ টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা লাগে বাংলাদেশ শিবিরে। ওপেনিং জুটি ভাঙে মাত্র ৫ রানে।
নিজের প্রথম ওভারেই সফলতা দেখলেন সাউদি।

২য় ওভারের ৪র্থ বলেই ওপেনার মিরাজকে সাজঘরে ফেরালেন এ পেসার । লফটেড শট খেলতে গিয়ে মিডঅনে অ্যাডাম মিল্নের হাতে ধরা পড়লেন মিরাজ।

মিরাজের পর ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী হয়ে নামেন লিটন দাস। দুবার জীবন পেয়েও টিকলেন না তিনি। ৮ম ওভারে মিচেল ব্রাসওয়েল বলে সফ্ট ডিসমিসাল হয়েছেন লিটন। করেছেন দুই বাউন্ডারিতে ১৩ বলে ১৫ রান।

শূন্য রানেই ফিরতে পারতেন লিটন। কিউইদের বাজে ফিল্ডিংয়ে প্রথম জীবন পান তিনি।

ট্রেন্ট বোল্টের করা তৃতীয় ওভারের শেষ বলটি কাভার ড্রাইভ করে মাটিতে রাখতে পারেননি লিটন। উড়ে যাওয়া বল ধরতে ঝাঁপিয়ে পড়েন কাভারের ফিল্ডার জিমি নিশাম। কিন্তু ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারলেন না। মাচ জুড়ে হইহই চিৎকারে মুহূর্তেই থেমে যায়।

৭ম ওভারেও আরেকবার জীবন পান লিটন। তাকে সহজ রানআউট মিস করেন ফিল্ডার। এ ক্ষেত্রে ফিল্ডার ছিলেন মার্টিন গাপটিল। আউট না হয়ে উল্টো দৌড়ে এক রান নেন লিটন।

আজ সাব্বিরের বদলে একাদশে সুযোগ পেয়ে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন নাজমুল হোসোন শান্ত।

ইশ শোধিকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ফিল্ডার মার্ক চ্যাপম্যানের হাতে ধরা পড়েন। ৪টি চারে ২৯ বলে ৩৩ রান করে আউট হলেন দলে ফেরা বাঁহাতি ব্যাটার।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেটে শিকার করেছেন চারজন বোলার – ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, ইশ শোধি ও মাইকেল ব্রাসওয়েল।

 

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *